অর্থনীতি

রমজান উপলক্ষ্যে আদা-পেঁয়াজ ‘বিপদমুক্ত’, কমবে রসুনের দাম

  অনলাইন ডেষ্ক ১০ মার্চ ২০২৩ , ১০:৩৫:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে বিপদমুক্ত থাকছে রসুন, আদা ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের দাম। কারণ, এবারের রমজানে এ তিন পণ্যের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। উল্টো মিলছে দাম কমার আভাস। ব্যবসায়ীরা এমনটি জানালেও আস্থা রাখতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। কারণ, একমাত্র বাংলাদেশেই রমজান বা ঈদ-কেন্দ্রিক কোনো পণ্যের দাম কমে না। পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়। যার প্রভাব পাইকারি থেকে শুরু করে খুচরা বাজারে পড়ে। ক্রেতাদের দাবি, এ দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ঈদ ও রমজানের আগে বাজারের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। যার প্রভাবে ক্রেতাদের মধ্যে নাভিশ্বাস ওঠে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, স্বাভাবিক বাজারে হঠাৎ কোনো পণ্যের সরবরাহ কমতি দেখা দিলে দাম বাড়তে থাকে। এজন্য ক্রেতা নিজেই দায়ী। কারণ, তারা রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে একসঙ্গে বেশি বেশি পণ্য কিনে মজুত করে রাখেন। এতে বাজারে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। খুচরা ও পাইকারি বাজারে বেড়ে যায় দাম। পরে এর দায়ভার এসে পড়ে ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে মো. এনায়েতুর রহিম। মিরপুর- ১ নম্বরের পাইকারি বাজার থেকে আদা-রসুন-পেঁয়াজ কিনছিলেন। আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যগুলো আগেভাগেই কিনে রাখছিলেন। তার দাবি, রমজান মাসজুড়ে এ তিন মসলা জাতীয় পণ্যের কদর বাড়ে। এজন্য দাম বাড়ার আগেই রমজান মাসের জন্য আদা-রসুন-পেঁয়াজ কিনে রাখছেন। ক্রেতারা জানান, বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এ দেশেও রমজান ও ঈদের সময় বাড়তি আয়োজন থাকে। তবে, বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশে রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে পণ্যের দাম বাড়ানো হয় না। উল্টো দেওয়া হয় বিশাল ছাড়। বাংলাদেশে কেন এমন উল্টো চিত্র এজন্য অবশ্য ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ক্রেতাদের দাবি, এ দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ঈদ ও রমজানের আগে বাজারের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। যার প্রভাবে ক্রেতাদের মধ্যে নাভিশ্বাস ওঠে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, স্বাভাবিক বাজারে হঠাৎ কোনো পণ্যের সরবরাহ কমতি দেখা দিলে দাম বাড়তে থাকে। এজন্য ক্রেতা নিজেই দায়ী। কারণ, তারা রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে একসঙ্গে বেশি বেশি পণ্য কিনে মজুত করে রাখেন। এতে বাজারে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। খুচরা ও পাইকারি বাজারে বেড়ে যায় দাম। পরে এর দায়ভার এসে পড়ে ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে। এজন্য আমাদেরও প্রত্যাশা, ক্রেতারা যেন একসঙ্গে পণ্য কিনে মজুত না করেন। এবার ব্যবসায়ীরা কোনো সংকট তৈরি করতে পারবেন না, কোনো সুযোগই নেই। আমাদের এ সংগঠনের আওতায় মোট পাঁচটি পণ্য আছে। এর মধ্যে আদার দাম কিছুটা বাড়লেও বাকি চারটি (রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ ও শুকনা মরিচ) পণ্যের দাম কোনো ভাবেই বাড়ার সম্ভাবনা নেই। গত এক সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বাড়েনি, কমেওনি কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সহসভাপতি মো. এ মাজেদ শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান ও ঈদ এলে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের বাড়তি কদর তৈরি হয়। কারণ, মাংস থেকে শুরু করে সবকিছুতে এ তিন মসলার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর রমজানের আগে এ তিন পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু এবার পর্যাপ্ত মজুত থাকায় স্বস্তিতে থাকবেন ক্রেতারা। বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজেরও সরবরাহ বেশ। এছাড়া এবার পেঁয়াজ, রসুনের ভরা মৌসুম চলছে। ফলে এ দুই পণ্যের দাম কমই থাকছে। অন্যদিকে, চাহিদা অনুযায়ী মিয়ানমার থেকেও পর্যাপ্ত আদা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এবার কোনো ভাবেই এ তিন পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। মিরপুর- ৬ নম্বর বাজারের ভাসমান আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফোরকান উদ্দিন  বলেন, বর্তমানে ভারতের পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। এজন্য আকৃতি ভেদে দেশি পেঁয়াজ বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। যেমন- বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় আর ছোট সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া, ভারতীয় কালো জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। ‘আদা ও রসুনের দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চাইনিজ আদার দামটা নাগালের বাইরে গেলেও মিয়ানমারের আদা নাগালের মধ্যে আছে। কারণ, চাইনিজ আদা আমদানির খরচ অনেক বেড়েছে। এজন্য এ আদা বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। দাম বেশি হলেও এ আদা বাজারে নেই বললেই চলে। অন্যদিকে, মিয়ানমারের আদা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ চাইনিজ আদার তুলনায় দাম অর্ধেক। এছাড়া, দেশীয় পুরাতন রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। নতুন রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, চাইনিজ রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। বর্তমানে ভারতের পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। এজন্য আকৃতি ভেদে দেশি পেঁয়াজ বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। যেমন- বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় আর ছোট সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া, ভারতীয় কালো জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। আদা ও রসুনের দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। চাইনিজ আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। মিয়ানমারের আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে মিরপুর- ১১ নম্বরে বাজার করতে এসেছেন মাহতাব নামের এক ক্রেতা।  তিনি বলেন, ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমই আছে। তবে, কম-টা কত দিন থাকবে সেটাই দেখার বিষয়। কারণ, সামনে রোজা হওয়ায় যে কোনো সময় আদা-রসুন-পেঁয়াজের দাম বেড়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ আসলে দাম বাড়তে থাকে। এটা এ দেশের নিয়ম। ‘এবার এসব পণ্যের দাম বাড়লে আমরা সাধারণ জনগণ মহাবিপদে পড়ব। কারণ, মুদি থেকে শুরু করে ইতোমধ্যে সব পণ্যের দাম ভয়ঙ্করভাবে বেড়েছে। সুতরাং, দৈনন্দিন জীবনে যেসব পণ্য অপরিহার্য, সেসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায় রাখতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ-রসুন মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত মজুত আছে পেঁয়াজ। রমজান উপলক্ষ্যে পেঁয়াজ ৩০ টাকার মধ্যেই থাকবে। এর বেশি দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, বাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজে ভরপুর। অন্যদিকে, দেশি রসুনের দাম পাইকারি বাজারে বর্তমানে ৭০ টাকা হলেও রমজান মাসে দাম কমে ৫০ টাকায় নামতে পারে। কারণ, ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলার রসুন বাজারে উঠেছে। রমজানজুড়ে রসুনের ভরা মৌসুম থাকবে। সেক্ষেত্রে দাম ৫০ টাকায় নেমে যেতে পারে। তবে, চাইনিজ রসুনের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে থাকতে পারে। এছাড়া, আদার দাম কিছুটা বাড়তেও পারে, নাও পারে। বর্তমানে মিয়ানমার আদা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। ভারতীয়টা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াবে সেই সম্ভাবনাও নেই। কারণ, এবার আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। রমজান মাসে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায় রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আমরা আশা করছি দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যেই থাকবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইআইটি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন এ বিষয়ে কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সহসভাপতি মো. এ মাজেদ  বলেন, ‘এবারের রমজানটা শুরুই হচ্ছে পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে। কাজেই এ সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কথা নয়। এখন পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আছে। সেই সঙ্গে রসুনের মজুতও পর্যাপ্ত আছে। এছাড়া, বর্তমানে বাজার মিয়ানমার আদার দখলে রয়েছে। অন্যদিকে, চায়না আদার দাম অনেক বেশি। চায়না আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা পরতা পড়ে। অন্যদিকে, মিয়ানমার আদা ৬০ থেকে ৭০ টাকা পরতা পড়ে। সেই হিসাবে চায়না আদার দাম অনেক বেশি। এক্ষেত্রে রমজান উপলক্ষ্যে মিয়ানমার আদার দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালোমানের পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা কেজি দরে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অন্যদিকে, মিয়ানমার আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। চায়নাটা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। আপাতত আমরা (শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা) চায়না আদা আনছি না। কারণ, সেখানে আদার দাম অনেক বেশি। ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারবেন না জানিয়ে এ মাজেদ বলেন, ‘এবার ব্যবসায়ীরা কোনো সংকট তৈরি করতে পারবেন না, কোনো সুযোগই নেই। আমাদের এ সংগঠনের আওতায় মোট পাঁচটি পণ্য আছে। এর মধ্যে আদার দাম কিছুটা বাড়লেও বাকি চারটি (রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ ও শুকনা মরিচ) পণ্যের দাম কোনো ভাবেই বাড়ার সম্ভবনা নেই। বর্তমানে শুকনা মরিচের দর ৩৫৫ থেকে ৩৬০ টাকা এবং হলুদ ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বাড়েনি, কমেওনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন এ প্রসঙ্গে বলেন, এখন পর্যন্ত আদা, রসুন ও পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত আছে। কারণ, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। অন্যদিকে, পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন দেশি রসুনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া আদারও যথেষ্ট মজুত আছে। সুতরাং, এসব পণ্যের দাম সেভাবে বাড়ার সম্ভবনা নেই। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াবে সেই সম্ভাবনাও নেই। কারণ, এবার আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। রমজান মাসে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায় রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আমরা আশা করছি দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যেই থাকবে।

আরও খবর

Sponsered content

আরও খবর: অর্থনীতি

সিটির সঙ্গে একীভূত না করতে গভর্নরকে বেসিকের কর্মীদের স্মারকলিপি

ওসিডিএল এর নেতৃত্বে- নিরাপদ ও লাভজনক আবাসনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমিন সিটি পূর্বাচলের পথচলা শুরু হয়েছে

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেললে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এর দৃষ্টি আকর্ষণ : চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক-এর নাম প্রস্তাবে ব্যাপক অনিয়ম

এশিয়ান ক্যান্সার ইনস্টিটিউট বিডি প্রাইভেট লিমিটেড এবার কাজ করছেন মরণব্যাধি ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে

রিহ্যাব এর বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ || আবাসন ব্যবসায়ীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছি – আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট