বিশেষ সংবাদদাতা ঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৮:৫৬:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্যবসায়িক সংক্রান্ত পাওনা প্রায় ১৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে নকশী নীট কম্পোজিট লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবদুল মালেক ও চেয়ারম্যান মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম এর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন এ জেড কটন ইয়ার্ন লি: এর চেয়ারম্যান মো: আশরাফ হোসেন। রমনা থানার মামলা নং-১১ তাং ১৪.১০.২০১৯ইং, ধারা ৪২০/৪০৬ দন্ড বিধি।
উক্ত মামলা দায়ের এর প্রেক্ষিতে মামলার ১নং আসামী নকশী নীট কম্পোজিট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবদুল মালেক- মামলার বাদী এ জেড কটন ইয়ার্ন লি: এর চেয়ারম্যান মো: আশরাফ হোসেন এর সাথে এই মর্মে চুক্তি করেন যে- মামলাটি নিস্পত্তির জন্য ১২,৪৮,৯৯,৯৩৬ টাকা পরিশোধের চুক্তি করেন। চুক্তিটি বিগত ২০২০ সালের ২ জানুয়ারী সম্পন্ন হয়। ঐ চুক্তিতে উক্ত টাকা ছাড়াও মামলার যাবতীয় খরচ আসামীপক্ষ পরিশোধ করেবেন মর্মে অঙ্গীকার করেন। ঐ চুক্তির প্রেক্ষিতে আসামী পক্ষ ২০২০ সালের ৬ই জুন থেকে ২০২৩ সালের ৯ই জানুয়ারী পর্যন্ত ১৪টি পে-অর্ডার এর মাধ্যমে ৪,৫২,৫৬,৮১৮ টাকা পরিশোধ করেন। আসামী আবদুল মালেক এই মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অর্থ আত্নসাৎকৃত মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। আসামী আবদুল মালেক জেল হাজতে থাকার কারণে ২নং আসামী নকশী নীট কম্পোজিট লি: এর চেয়ারম্যান মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম বিগত ২০২৩ সালের ১লা জুন মামলার বাদী এ জেড কটন ইয়ার্ন লি: এর চেয়ারম্যান মো: আশরাফ হোসেন এর সাথে এই মর্মে চুক্তি করেন যে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে ২ কোটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২ কোটি ও চলতি ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা পরিশোধ করবেন। উক্ত চুক্তির কারনে মামলার বাদী ২নং আসামী মোসাম্মাৎ আমেনা বেগমের জামিনে বিরোধিতা করেননি। উক্ত জামিন প্রাপ্তির ৪ বছর ৪ মাস অতিক্রম হলেও জামিন পেয়ে মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম শর্ত অনুযায়ী পাওনা অর্থ পরিশোধ করেননি। ফলে সংষিøষ্ট মামলায় তার জামিন বাতিল যৌক্তিক দাবীতে রুপ দিয়েছে। মহামান্য বিচারিক আদালত বিগত ২০১৯ সালের ৪ঠা নভেম্বর দেয়া এক আদেশে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত আসামী মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম এর জামিন আবেদন মনজুর করেন। কিন্তু সংষিøষ্ট সিআইডি কর্মকর্তা বিগত ৪ বছর ৪ মাসেও মামলাটি যথেষ্ঠ দালিলিক প্রমান থাকা সত্বেও- আসামী পক্ষের টাকা পরিশোধের চুক্তি থাকা সত্ত্বেও মামলাটির অভিযোগ পত্র প্রদান থেকে বিরত রয়েছেন। সি আই ডির তদন্ত কর্মকর্তার রহস্যজনক কারনে অভিযোগ পত্র প্রদানে অনীহা ও জামিনের সুযোগ নিয়ে আসামী মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ থেকে বিরত রয়েছেন। ফলে মামলার বাদী ন্যায় বিচার থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে গত ২৬শে ফেব্রয়ারীএই প্রতিনিধি মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এই প্রতিনিধির সাথে বক্তব্য প্রদানের এক পর্যায়ে বলেন -‘‘টাকা পরিশোধের বিষয়ে আপোষনামার ঘটনা সত্য। তবে এ বিষয়ে আমি সাংবাদিকদের সাথে বলবো না’’।
এ ঘটনা সর্ম্পকে মামলার বাদী এ জেড কটন ইয়ার্ন লি: এর চেয়ারম্যান মো: আশরাফ হোসেন বলেন-‘‘আসামী মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম জামিনে মুক্তি পেয়েও বিগত ৪ বছর ৪ মাস পার হলেও চুক্তি অনুযায়ী আমার সর্বশেষ পাওনা ৮ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা পরিশোধ করছেনা। ফলে আমার আইনজীবির মাধ্যমে ২নং আসামী মোসাম্মাৎ আমেনা বেগমের জামিন বাতিলের আবেদন জানাবো”।