বিশেষ সংবাদদাতা ঃ ১১ মার্চ ২০২৪ , ৯:১৫:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ফরিদপুর সদর উপজেলাস্থ চুনাঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ড ও নিরাপত্তা কর্মী শূণ্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারী। ঐ নিয়োগ পরীক্ষায় সুপারিনটেনডেন্ড পদে প্রথম হয়েছে ছাইফুল ইসলাম ও নিরাপত্তা কর্মী পদে প্রথম হয়েছে আল আমিন সিকদার। অথচ তাদেরকে অদ্যাবধি নিয়োগ দেয়া হয়নি। মাদ্রাসার একটি অশুভ মহল এ নিয়োগ বাতিলের চেষ্টা করছে। তবে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি এম এ ছালাম লাল মিয়া বলছেনÑ‘‘মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালকের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটির উপস্থিতিতেÑএ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় যারা প্রথম হয়েছে তাদেরকে নিয়োগ দেয়ার পক্ষে কাজ করছি।’’ অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত এ নিয়োগ পরীক্ষায় সুপারিনটেনডেন্ড পদে ৩ জন ও নিরাপত্তা কর্মী পদে ৩ জন অংশ নেয়। সুপার পদে প্রথম হন ছাইফুল ইসলাম ও নিরাপত্তা কর্মী পদে প্রথম হন আল আমিন শিকদার। নিয়োগ কমিটি তাদের নিয়োগ প্রদানের সুপারিশ করে। এ নিয়োগ কমিটিতে উপস্থিতি ছিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি মাদ্রাসা ই আলিয়া, ঢাকার উপাধ্যক্ষ, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাকসুদ রহমান, সদস্য সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সুপার মো: ফখরুদ্দীন ও সভাপতি এম এ ছালাম লাল মিয়া। অনুসন্ধানে জানা যায়Ñ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো: ফখরুদ্দীন ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে এ পদে রয়েছেন। তিনিই এ পদে অব্যাহত ভাবে থাকতে সুকৌশলে এ নিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করছেনে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছেÑ নিয়োগে প্রতিবন্ধকতা মূলত কে সৃষ্টি করছে? ঘটনাটির তদন্ত প্রয়োজন।