বরিশাল ব্যুরো ১৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:১২:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। তবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও নির্বাচন করতে দলীয় টিকিট পাননি বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এই দুজন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। আপাতত মনোনয়নযুদ্ধে ভাতিজাকে হারিয়ে জয়ের হাসি হাসলেন চাচা খোকন সেরনিয়াবাত। শনিবার (১৫ এপ্রিল) অপরাহ্নে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে তাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। মনোনয়ন পাওয়ার পর আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, গত ৫ বছরে বরিশালে কোনও উন্নয়ন হয়নি। নগরবাসী আমাকে নির্বাচিত করলে তাদের প্রত্যাশা পূরণে শতভাগ স্বচ্ছ থেকে কাজ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রী যে বিশ্বাসে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন সে বিশ্বাসের মর্যাদাও রাখবো। এর আগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। তার অনুমতি নিয়ে তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র ফরম জমা দিয়েছি। আমি জেলা শহর পটুয়াখালীতে গিয়েছি। সেখানকার উন্নয়ন দেখে আমার কষ্ট লেগেছে। যার ছিটেফোঁটাও বরিশালে হয়নি। এ কারণে বরিশালের উন্নয়নে আমাকে প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রয়োজন এবং এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নগরবাসী। তারাও চাচ্ছেন আমি সিটি মেয়র নির্বাচিত হয়ে তাদের উন্নয়নে শতভাগ স্বচ্ছ থেকে কাজ করি। এ বছর প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন দল থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও বহিষ্কার না করার সিদ্ধান্ত থাকায় বাড়তে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা। যদিও সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নির্বাচন করবেন কি না এখনও সেরকম কোনও আভাস দেননি। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ওই ভোটে ভাগ বসাতে পারে জাতীয় পার্টি ও চরমোনাই নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীরা। এদিকে, এই চাচা-ভাতিজার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়েছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসীম উদ্দিন ও সরকারি বিএম কলেজের কর্ম পরিষদের সাবেক ভিপি মঈন তুষারও। এদের মধ্য থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে নায়েবে আমির ও বরিশাল মহানগরের সভাপতি সৈয়দ ফয়জুল করিম জানিয়েছেন, সরকার দলীয় প্রার্থীর ওপর নির্ভর করেই তারা নির্বাচনে শক্ত প্রার্থী দেবেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে এক বছর আগেই এই সিটির মেয়র পদে লড়তে মনোনয়ন নিশ্চিত করে রেখেছে। দলটি থেকে নির্বাচনে লড়বেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস। মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই তিনি চষে বেড়াচ্ছেন। এমনকি তিনি গড়ে তুলেছেন ‘ফরএভার লিভিং সোসাইটি’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ওই সংগঠনের প্রায় ১০ হাজার সদস্য রয়েছে।