অন্যান্য

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৫৫ হাজার ইউ.পি সদস্য নিয়ে বাইসস কাজ করছে।

  অনক আলী হোসেন শাহিদী ঃ ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:৩১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ১৫ কোটি জনগণের সাথে- তথা তাদের দৈনন্দিন আর্থ সামাজিক জীবনের সাথে কাজ করছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ও সদস্যারা। তৃণমূল পর্যায়ের সকল স্তরের জনগণের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা মূলত সরাসরি কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রকার উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাথে এই নির্বাচিত সদস্যরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। ইউনিয়ন পরিষদের এই সব নির্বাচিত সদস্যদেরকে একটি সাংগঠনিক উপায়ে- এক ছাতার নীচে নিয়ে এসেছে- বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) নামের একটি সংগঠন। ১৯৮৬ সালে এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হলেও ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) নামে সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয় হতে সংগঠনটি নিবন্ধন লাভ করে যার নিবন্ধন নং- ঢ-০২১৬৪। এটি বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের জাতীয় সংগঠন। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই সংগঠনটি মূলত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামীন জনগোষ্ঠীর সাথে সরকারের নানা প্রকল্প সহ বিভিন্ন আর্থ সামাজিক কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত। এই সংগঠনই মূলত একমাত্র সংগঠন যা দেশের তৃণমূল জনগণের সাথে সরাসরি যুক্ত। এই সংগঠনটির ইতিহাস সহ এর মৌলিক কার্যক্রম বর্তমান কর্মসূচী ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে জানতে আমি সরাসরি কথা বলেছি সংগঠনটির চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হাসান রকীব আজাদ ও মহা-সচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম এর সাথে। সংগঠনটির এই তিন নেতা মূলত আমার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। আমি বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা বা বাইসস এর চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন এর নিকট সংগঠনটি পরিকল্পনা ও কর্মপরিধি সম্পর্কে কথা বলেছি। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হাসান রকীব আজাদ এর সাথে কথা বলেছি সংগঠনটির আইন ও বিধিমালা নিয়ে এবং সংগঠনটির মহা-সচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম এর সাথে কথা বলেছি সংগঠনটির সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে। বাইসস এর এই তিন নেতার বক্তব্যে আমরা বাইসস এর কর্মতৎপরতা এর কর্মপরিধি একই সাথে দেশের তৃণমূল জনগণের সাথে এদের সম্পর্ক ও সাংগঠনিক শক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমি সংশ্লিষ্ঠ নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও সংগঠনটি কিভাবে দেশের তৃণমূল জনগণের সাথে মিশে আছে।
বাইসস এর চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন একজন দক্ষ সাংগঠনিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার ব্যক্তি জীবনের রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে- দল ও মতের উর্ধে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধির বার্তা পৌছে দেয়া। ব্যক্তি জীবনের রাজনৈতিক আদর্শে তিনি মূলত এই দর্শনই লালন করেন। তার ব্যক্তি জীবনের লালিত দর্শনের পথ ধরেই তিনি মূলত বাইসসের নেতৃত্বে রয়েছেন।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) এর নেতৃত্বে কেন এলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বাইসস চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন- আপনি নিশ্চয়ই জানেন দেশের ১৭ কোটি জনগণের মধ্যে ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠী মূলত গ্রামে বাস করে। গ্রামের কিছু মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে শহরে আসলেও কাজের শেষে তারা মূলত গ্রামেই ফিরে যায়। তাদের জীবনের শেকড়টা কিন্তু গ্রামে। এদের সংখ্যা শতকরা প্রায় ১০ ভাগ হবে। এরা সকলেই গ্রামীণ আর্থ সামাজিক জীবনের সাথে যুক্ত। সরকার তার জাতীয় কর্ম পরিধিতে যে সব কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন তার সিংহভাগই হলো তৃণমূল এই জনগোষ্ঠীর কল্যাণের লক্ষ্যে। তৃণমূল জনগনের কল্যানে সরকার যে কাজ করেন তার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদের একজন নির্বাচিত সদস্য মূলত সরাসরি তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সুখ দুঃখ হাসি কান্না সহ তাদের সামগ্রিক জীবনের সাথে যুক্ত। এই কারনেই আমি দেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সরাসরি সুখ দুঃখের সাথে জড়িয়ে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদেরকে নিয়ে কাজ করছি।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) সদস্যদের কেন ঐক্যবদ্ধ করছেন এর মৌলিক কারণ কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন- “আপনি নিশ্চয়ই বাস্তবিকভাবে দেখছেন একমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরাই তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সাথে একত্রে বসবাস করে। একজন নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তার ওয়ার্ডের জনগনের সুখ-দুঃখকে জানেন ও বুঝেন। তাদের মৌলিক চাহিদা সমস্যা ও সম্ভাবনাকে অনুভব করতে পারেন। আমাদের প্রায় ৫৫ হাজার নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের নেতৃত্বের সাথে তথা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে যুক্ত রয়েছে। যেহেতু এই ৫৫ হাজার ইউ.পি সদস্য দেশের সিংহভাগ জনগণনের নেতৃত্বে রয়েছে সেই হিসাবে বাইসস মূলত মৌলিকভাবে দেশের ১৭ কোটি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করছে।” এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ৫৫ হাজার ইউ.পি সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তার নির্বাচনী এলাকার সকল মানুষের সাথে প্রতিটি সদস্য দল ও মতের উর্ধে ঐক্যবদ্ধ।
বাইসস চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- এই যে আপনার নেতৃত্বে ৫৫ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ১ লক্ষ ১০ হাজার চোখ ও হাত দেশের ১৭ কোটি জনগণের সাথে কাজ করছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন-“জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সরকার মূলত কেন্দ্রীয়ভাবে রাষ্ট্রের কল্যাণেই কাজ করে। তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারে বাজেট প্রণয়ন, বাজেটের অর্থ আহরণ, খাদ্য নিবাপত্তা, টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন সহ বহুবিধি যে কাজের পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নে মূলত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরাই সরাসরি যুক্ত। অথচ তারা সরকারের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করছি। একই সাথে সরকারের যে কোন জনকল্যানমূলক কর্মসূচীতে বাইসসের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “সরকারের সকল জনকল্যাণমূলক কর্মসূচীতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সংযুক্ত করতে আমরা নিয়মিতভাবে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা শিল্পমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কৃষি মন্ত্রীর প্রতিনিধি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর সাথে মত বিনিময় ও আলোচনা অনুষ্ঠান করেছি এবং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এসব অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা উপস্থিত থেকে সরাসরি তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বলে আসছে। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক মন্ত্রী পরিষদের সদস্য সহ মাননীয় সংসদ সদস্যরা আমাদের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে সম্ভব সব রকম সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করে আসছে। আমাদের কার্যক্রমের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।”
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন-“আমরা মূলত আমাদের প্রাণ প্রিয় সংগঠন বাইসসের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে সরাসরি কাজ করছি। আমরা আমাদের এ কাজের ব্যাপক সফলতাও লক্ষ্য করছি। সরকার যদি রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রয়োজনে তৃণমূল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমাদের সহযোগিতা চায়। আমরা সেই সহযোগিতা প্রদানে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “রাষ্ট্রীয় ও জনস্বার্থে সরকারের প্রয়োজনে বাইসস এ নেতৃত্বে থাকা ৫৫ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের নেতৃত্বে গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম।”
সরকারের রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রয়োজনে অথবা জনগণকে সরকারের কোন বাণী পৌছে দিতে আপনারা বৃহত্তর গণসমাবেশ করার সক্ষমতা রাখেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাইসস সভাপতি গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন-“ সরকারের যে কোন ইতিবাচক লক্ষ্য অর্জনে সরকার চাইলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫৫ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের নেতৃত্বে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে নিয়ে ঢাকায় মহা সমাবেশ করতে আমরা সক্ষম।”
আমরা বাইসস এর কর্মের প্রসারতা, ভবিষ্যত পরিকল্পণা ও সংশ্লিষ্ট সদস্যদের কর্মের পরিধি ও অধিকার সম্পর্কে কি ভাবছেন- এমন প্রশ্ন করেছিলাম সংগঠনটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হাসান রকীব আজাদ এর নিকট। আমার এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হাসান রকীব আজাদ বলেন-“আপনি নিশ্চয়ই জানেন- ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা মূলত তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সাথে সরাসরি কাজ করে। তাদের কাজের ক্ষেত্রে বহু সমস্যা রয়েছে। এই সব সমস্যা সমাধানে ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর তৃতীয় তফসিলে ৭টি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন স্থানীয় বিভাগের সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে হস্তান্তরের বিধান রাখা হয়। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।” তিনি বলেন-“স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সব মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রনে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করলে সরকারের কর্মের সুফল সরাসরি তৃণমূল জনগণের নিকট পৌছে দেয়া সম্ভব।” তিনি বলেন- “এই লক্ষ্য অর্জনে বাইসস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছি। এ কর্মসূচী চলবে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমেই আমরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের কর্মের পরিধি তথা সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো ইনসা-আল্লাহ।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) এর মহা-সচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম একজন দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাস্তবিক পক্ষে জানেন ঠিক কেমন করে ইউনিয়ন পরিষদ এ নির্বাচিত সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের মৌলিক অধিকার গুলো ফিরিয়ে দেয়া যায়। এ ক্ষেত্রে তার নিকট জানতে চেয়েছিলাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের আপনি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ করছেন তার মূলমন্ত্র কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-“ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। আমি বিশ্বাস করি সরকার আমাদের জনগনের সাথে কাজ করতে যে আইন করেছে তার ইতিবাচক বাস্তবায়ন করলে বিরাজমান সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে। এ বিষয়ে নতুন কোন আইন ও ধারা সংযোজন করার প্রয়োজন হলে আমাদের দাবী অনুযায়ী সরকার তা অবশ্যই করবে। তিনি বলেন- ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে যা যা করনীয় তা আমাদের বাইসস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে যা যা করনীয় তা সবই করছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই ইতিবাচক কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করছি।”
বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) নেতৃবৃন্দের নিকট আমি মৌলিক বিষয় নিয়ে যা জানতে পেরেছি তা হলো বাইসস এর নেতৃত্বে দেশের প্রায় ৫৫ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের যে কোন সংকটে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় কল্যাণে সামাজিক আন্দোলনে কাজে লাগানো সম্ভব।
বাইসস এর চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন পরিশেষে আমাকে বলেন- “আমাদের দেশ প্রেমিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণমানুষের নেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপ দিতে তার আকাঙ্খা প্রকাশ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাইসস এর এই ৫৫ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে তার স্বপ্ন ও আকাঙ্খা বাস্তবায়নে সব রকমের সহযোগিতা করবেন। এ বিষয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার আন্তরিক আগ্রহ প্রকাশ করছি। কারণ আমরা আমাদের আস্থার জায়গা থেকে বিশ্বাস করি, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৫৫ হাজার ইউ.পি সদস্য নিয়ে কাজ করছে বাইসস’’।

আরও খবর

Sponsered content