অর্থনীতি

বিশ্বস্ত ও আস্থার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক

  মশিউর আনন্দ: ৩০ মার্চ ২০২৩ , ১২:২১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৩ সালে একটি তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রূপে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স লাভ করে এবং কার্যক্রম শুরু করে। ইসলামী ব্যাংক এমন এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা এর মূলনীতি ও কর্ম-পদ্ধতির সকল পর্যায়ে ইসলামী শরী’আহর নীতিমালা মেনে চলতে বদ্ধপরিকর এবং কর্মকাণ্ডের সকল স্তরে সুদ বর্জন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইসলামের আর্থ-সামাজিক মূলনীতির আলোকে একটি ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার তাগিদ থেকে ইসলামী ব্যাংকিং চেতনার উন্মেষ ঘটেছে। প্রচলিত ধারার ব্যাংক ব্যবস্থার সাথে এ ব্যাংকের পার্থক্য নীতিগত। এ ব্যাংকের কর্মধারাও সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। ইসলামী শরীআহর ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকের সকল লেনদেন সুদমুক্ত। ন্যায়ানুগ মুনাফা এই ব্যাংকের লেনদেনের ভিত্তি। আর্থ- সামাজিক সুবিচার এই ব্যাংকের উদ্দেশ্য। কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠা করা এবং সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, বিভিন্নমুখী বিনিয়োগ কার্যক্রম, বিশেষ করে দেশের অগ্রাধিকার খাত ও স্বল্পোন্নত এলাকায় বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন সাধন করা।
ইসলামী ব্যাংক সব ধরনের স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম ছাড়াও গরীব-দুঃস্থ, অসহায় ও নিঃসম্বল মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে ‘ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পরিচালিত জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সেলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্প, দুগ্ধবতী গাভী পালন প্রকল্প, রিকশা প্রকল্প, আত্ম-কর্মসংস্থান প্রকল্প, পোল্ট্রি প্রকল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রকল্প, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মী প্রকল্প, ক্ষুদ্র শিল্প প্রকল্পসহ আয়বর্ধক কর্মসূচী, ফোরকানিয়া মক্তব, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান ও এককালীন অনুদান, দুঃস্থদের জন্য স্কুল পরিচালনা ও সাহায্য দানসহ শিক্ষা কর্মসূচী; মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দাতব্য চিকিৎসালয়ে অনুদান, চিকিৎসার জন্য এককালীন অনুদান, নলকূপ স্থাপন, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণসহ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা কর্মসূচী; এতিমখানা প্রতিষ্ঠা, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে তাঁর কন্যা পাত্রস্থ করার জন্য অনুদান, ঋণগ্রস্ত ও ভ্রমণপথে বিপদগ্রস্ত লোকদের অনুদানসহ মানবিক সাহায্য কর্মসূচী; ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচী; ইসলামী দাওয়াহ কর্মসূচী। এছাড়াও স্বল্পমূল্যে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা সেবা দানের উদ্দেশ্যে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে হাসপাতাল, বিভিন্ন এলাকায় কমিউনিটি হাসপাতাল, উপকূলবাসীদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ‘সার্ভিস সেন্টার’, দরিদ্র মহিলাদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র ‘মনোরম: ইসলামী ব্যাংক ক্রাফটস্ এন্ড ফ্যাশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বরে ‘ইসলামী ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ’ এবং মিরপুর ৬ নম্বরে ‘ইসলামী ব্যাংক মহিলা মাদ্রাসা’ চালু করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন বেকার সমস্যার সমাধান ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকার কাকরাইল ও ফার্মগেট এলাকায় এবং বগুড়া, সিলেট ও চট্টগ্রাম শহরে ‘ইসলামী ব্যাংক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন দরিদ্র ও সম্বলহীন বিধবা, সামাজিকভাবে নির্যাতিতা মহিলা ও অভিভাবকহীন এতীম মেয়েদের পুনর্বাসনের জন্য ‘দুঃস্থ মহিলা পুনর্বাসন কেন্দ্ৰ’ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য “বাংলাদেশ সাংস্কৃতি কেন্দ্র’ স্থাপন করেছে। ইসলামী ব্যাংক একের পর এক নতুন সাফল্য নিয়ে আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স আহরণ, শিল্পায়ন, এসএমই বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে দেশে- বিদেশে বিশেষত উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য সাফল্যের মডেলে পরিণত হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অংশীদার ইসলামী ব্যাংক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অন্যতম বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠান।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগ বিতরণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নানাবিধ বিনিয়োগ সুবিধা দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো.মতিউর রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংক আমাকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ করায় করোনা ও করোনা পরবর্তী আর্থিক সংকটের মধ্যে আমি আমার ব্যবসা সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে।তবে ক্ষুদ্র ঋণ সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তির পাশাপাশি ছয় মাস ভিত্তিক ও বছরভিত্তিক করলে আমাদের জন্য আরও সুবিধা হতো। দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি রেমিট্যান্স আহরণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে ইসলামী ব্যাংক। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে আসছে নিরাপদে। বিনিয়োগ হচ্ছে জাতীয় উন্নয়ন নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাতে।
রেমিট্যান্স গ্রাহক মোছা. নাসরিন সুলতানা বলেন, আমার স্বামী আজ প্রায় পাঁচ বছর প্রবাসে আছেন। আমি প্রথম থেকেই ইসলামী ব্যাংকের মধ্য দিয়ে টাকা সংগ্রহ করি। ইসলামী ব্যাংক অনেক সময় আমাদের প্রেরণকৃত টাকার উপরে দুই থেকে তিন শতাংশ নগত বোনাস দিয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দিয়ে থাকে। এর ফলে আমরা আরো বেশি উৎসাহিত হচ্ছি। জনগণের অর্থের বিশ্বস্ত আমানতদার ইসলামী ব্যাংক।সঞ্চয়ের মানসিকতা তৈরি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মমূখী জীবনের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজন পূরণে কাজ করছে এই ব্যাংক।ইসলামি ব্যাংকের ডিপোজিট গ্রাহক মো.ওসমান আলী বলেন, আমি ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে খুবই স্বাচ্ছন্দবোধ করি। বেশি পরিমাণ টাকা তোলার ক্ষেত্র কোনো অসুবিধা হয় না বরং বেশ সুবিধে রয়েছে। অন্যদিকে অনেক এটিএম বুথ থাকায় জরুরী প্রয়োজনে আমি ইসলামী ব্যাংকের যেকোন বুথ থেকে টাকা তুলতে পারি। এই সেবাটি ইসলামী ব্যাংকের একটা ভাল দিক। যা অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে খুব বেশি পাওয়া যায় না।
ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সব মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের অনন্য প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। যা বিশ্বের বৃহত্তর ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম। ব্যাংকে একাউন্ট করতে আশা নীলিমা রায় বলেন, ইসলামী ব্যাংক হিন্দু- মুসলমান- খ্রিস্টান সকলের জন্য সমান নিয়ম ও অধিকার নিয়ে এসেছে। আমি অন্যান্য ব্যাংক ছাড়া ইসলামী ব্যাংকে হিসাব খুলতেই বেশি পছন্দ বোধ করেছি।
এসএমই খাতে অর্থায়ন ইসলামী ব্যাংক দেশের সর্বোচ্চ এসএমই বিনিয়োগকারী ব্যাংক। কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, আঞ্চলিক বৈষম্য কমানো, নারীর ক্ষমতায়ন, সর্বোপরি সুষম টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক এসএমই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। মহিলা উদ্যোক্তা মোছা. সুমাইয়া খাতুন বলেন, ইসলামী ব্যাংক থেকে আমি অর্থ নিয়ে মাঝারি বুটিক শিল্পে বিনিয়োগ করেছি। এতে আমি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছি। আমার দেখাদেখি আরো অনেক মহিলা উদ্যোক্তা উৎসাহিত হচ্ছেন। অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্পায়নে দেশের ৬ হাজারের বেশি শিল্প কারখানা ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার অটো রাইস মিল মালিক মো. মোজাম্মেল হক খোকন বলেন, শিল্পায়নে ইসলামী ব্যাংক যথেষ্ট বিনিয়োগ করছে। আমি ইসলামী ব্যাংক থেকে অর্থবিনিয়োগ গ্রহণ করে অটো রাইস মিল ব্যবসা পরিচালনা করছি। অটো রাইস মিলের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পায়নে ইসলামী ব্যাংক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
দেশের আবাসন বিনিয়োগে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার ১০% এবং বাংলাদেশের পরিবহন খাতের মোট বিনিয়োগের প্রায় ১৮% মার্কেট শেয়ার ইসলামী ব্যাংকের। ইসলামী ব্যাংক ১৯৯৫ সালে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) চালু করে। এ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, সঞ্চয় গঠন, বিভিন্ন আয়-উৎসারী কর্মকান্ডে বিনিয়োগ কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ ইসলামী ব্যাংক পূরণ করে আসছে। কৃষি খাতের বিকাশে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামি ব্যাংক। কৃষিপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, কৃষিসহায়ক শিল্প স্থাপন, উন্নত কৃষি উপকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করছে ইসলামী ব্যাংক। পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প, কৃষি সন্ত্রপাতি বিনিয়োগ প্রকল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রযুক্তিসমৃদ্ধ আর্থিক সেবা উন্মুক্ত করেছে। পরিপূর্ণ প্রয়োগ ঘটেছে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে লেনদেন সুবিধা প্রদান করছে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং। যা গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষা দিচ্ছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভূমিকা রাখছে। ইসলামী ব্যাংক আজ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগী ভূমিকা পালন করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বিস্তৃত নেটওয়ার্কের এই ব্যাংক দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করছে। ইসলামী ব্যাংক দেশের অর্থব্যবস্থার অগ্রগতিতে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে ইসলামী ব্যাংক জাতীয় নীতিমালার সাথে একীভূত হয়ে কাজ করছে।

আরও খবর

Sponsered content

আরও খবর: অর্থনীতি

সিটির সঙ্গে একীভূত না করতে গভর্নরকে বেসিকের কর্মীদের স্মারকলিপি

ওসিডিএল এর নেতৃত্বে- নিরাপদ ও লাভজনক আবাসনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমিন সিটি পূর্বাচলের পথচলা শুরু হয়েছে

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেললে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এর দৃষ্টি আকর্ষণ : চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক-এর নাম প্রস্তাবে ব্যাপক অনিয়ম

এশিয়ান ক্যান্সার ইনস্টিটিউট বিডি প্রাইভেট লিমিটেড এবার কাজ করছেন মরণব্যাধি ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে

রিহ্যাব এর বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ || আবাসন ব্যবসায়ীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছি – আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট