খেলা

তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাক টু ব্যাক ফিফটিতে, সিলেটের হ্যাট্রিক জয়

  স্পোর্টস ডেস্ক  ৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ৮:৪৫:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

বিপিএলে এর আগে কোনো ফিফটি ছিল না তৌহিদ হৃদয়ের। ম্যাচ জেতানো কার্যকরি কোনো ইনিংসও নয়। তবে এবার সুযোগ পেয়ে যেন নিজের জাত চেনাচ্ছেন এই ব্যাটার। তার ব্যাক টু ব্যাক ফিফটিতে দল সিলেট স্টাইকার্স পেয়েছে হ্যাটট্রিক জয়। বরাবরই বিপিএল মানে সিলেট স্টাইকার্সের হতাশা। তবে এবার টুর্নামেন্ট শুরু আগেই আভাস দিয়েছিল ভিন্ন কিছুর। নতুন মালিক আর মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে টানা তিন জয়ে প্রত্যাশার জায়গাটা আরও বড় হল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে তারা আজ হারালো ৫ উইকেটে। কুমিল্লার এটি টানা দ্বিতীয় হার। মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করা কুমিল্লা জাকের আলি অনিকের ৫৭ রানে ভর করে পায় ৫ উইকেটে ১৪৩ রানের পুঁজি। জবাবে তৌহিদের ৫৬ রানের সাথে জাকিরের ২০ ও মুশফিকের অপরাজিত ২৮ রান। আর তাতে ৫ উইকেট ও ১৪ বল হাতে রেখেই আসে সিলেটের জয়। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকে হারায় সিলেট স্টাইকার্স। পকিস্তানি এই ব্যাটার করত পারেননি ৬ রানের বেশি। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের। শান্ত ১৯ রানে ফিরলেও তৌহিদ ছিলেন সাবলীল। আগের ম্যাচে ১৮ বলে ৪৩ রান করা জাকির হাসান এ দিনও দেন ঝড়ের আভাস। অবশ্য থামতে হয় ১০ বলে ২০ রান করে। উইকেট হারালেও লক্ষ্য থেকে একটুও পিছিয়ে ছিল না সিলেট স্টাইকার্স। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো তৌহিদ আজ ফিফটি ছুঁয়েছেন ৩৫ বলে। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ম্যাচ প্রায় শেষই করে আসছিলেন। কিন্তু খুশদিল শাহর বলে স্টাম্পড হন ৩৭ বলে ৩ চার ৪ ছক্কায় ৫৬ রান করে।আগের ম্যাচের মতো বাকি কাজ অনায়েসেই শেষ করতে পারতেন থিসারা পেরেরা-মুশফিক। তবে জয় থেকে মাত্র ১২ রান দূরে দাঁড়িয়ে আউট হন পেরেরা (৮)। ২৫ বলে ২ চারে ২৮ রানে অপরাজিত থেকে মুশফিক অবশ্য দল জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে থিসারা পেরেরার করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে দারুণ শুরু লিটন দাসের। ওভারে চার মেরেছেন আরও একটি। তবে ওই ওভারেই থামতে হয় লিটনকে (৪ বলে ৮। লিটনের বিদায়ের পর ঝড়ো শুরু সৈকত আলির। কিন্তু ১২ বলে ২০ রান করে তাকেও থামতে হয়। এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও টিকেননি বেশিক্ষণ (২)। ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেই চাপ সামলান ডেভিড মালান ও জাকের আলি। দুজনে মিলে ৪৯ বলের জুটিতে যোগ করেন ৫৩ রান। ৩৯ বলে ৩৭ রানের বেমানান ইনিংস খেলে আউট হন মালান।পরে অবশ্য হাত খোলার চেহটা করেন জাকের। তার ৪৩ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৫৭ রানে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সিলেট স্টাইকার্সের হয়ে দুইটি করে উইকেট থিসারা পেরেরা ও মোহাম্মদ আমিরের।

আরও খবর

Sponsered content