নীলফামারী প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২২ , ১০:৩১:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৃষকদের। বিগত কয়েক বছরে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলার চাষ করে লাভ বেশি পাওয়ায় দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছেন স্থানীয় কৃষকরা। কলাগাছ, কলাপাতা, কলাগাছের শেঁকড় ও কলা সবই উপকারী। প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে কলায়। কলা চাষ করে অনেক কৃষকের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। পর্যাপ্ত রোদ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা এবং উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। উর্বর দো-আঁশ মাটি কলা চাষের জন্য উত্তম। উপজেলার বেশিরভাগ জমি দো-আঁশ মাটি হওয়ায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় গত বছরে কলা চাষ করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছিলেন চাষিরা। তাই এবারও লাভের আশায় অনেক কৃষক কলা চাষ করেছেন।
জলঢাকা উপজেলার বিন্যাকুড়ি, মীরগঞ্জ ও ধর্মপাল এলাকায় বিভিন্ন জাতের কলার মধ্যে হিম সাগর, সবরী ও চম্পা অন্যতম। জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে কলার ভালো ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে শ্রমিক খরচও কম হওয়ায় লাভবান হওয়া যায়। মীরগঞ্জের কলা চাষি সোলায়মান রহমান বলেন, এ বছর লাভের আশায় ৪ বিঘা জমিতে মালভোগ কলার চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় কীটনাশক, সার, চারা, মজুিরসহ খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ৪ বিঘা জমিতে মোট লাভ হবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের গড় ধর্মপাল এলাকার কৃষক মোজাহারুল আলী জানান, কলার চারা বছরে তিন সময়ে রোপণ করা হয়। বাংলা সনের আশ্বিণ-কার্তিক,মাঘ-ফাল্গুন ও চৈত্র-বৈশাখ মাস চারা রোপণের জন্যে ভালো সময়। চারা রোপণের জন্য সারিবদ্ধভাবে ২ মিটার দূরত্বে রোপণ করতে হয়। কলার চারা রোপণের ১১-১৫ মাসের মধ্যেই সাধারণত সব জাতের কলাগাছ থেকে কলা সংগ্রহ করা যায়।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার জনাব মীর হাসান আল বান্না জানান,জলঢাকা উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কলা চাষের ব্যাপারে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।