অন্যান্য

আইনি সহায়তা চেয়ে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নারী সাংবাদিকের মামলা

  সমাজ সংবাদ প্রতিবেদকঃ ১ মার্চ ২০২৩ , ৩:২৯:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

ফেসবুকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কুরুচিপূর্ণ, অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সংবলিত পোস্ট দেওয়ার কারণে জাওয়াদ নির্ঝর নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন করেছেন সাজেদা পারভীন(৪৮) নামে এক নারী সংবাদ কর্মী। মামলার এজাহারে জানা যায় সাজেদা পারভীন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গ্রীণ টিভিতে কর্মরত। অপরদিকে জাওয়াদ নির্ঝর এক সময় বেসরকারি টিভি চ্যানেল গাজী টিভিতে কর্মরত ছিলেন। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে মামলাটির ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, সাজেদা পারভীন বাদী হয়ে আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলাটি রুজু করেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, মানহানির প্রতিকার ও দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন চেয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫,২৬,২৯ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি(মামলা নং ২৪) রুজু করা হয়। বাদী সাজেদা পারভীন মামলার আলামত হিসেবে জাওয়াদ নির্ঝরের ফেসবুক পোস্টের লিংক ও পোস্টের স্ক্রীনশট সংযোজন করেছেন।

মামলাটি সম্পর্কে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জনৈক জাওয়াদ নির্ঝর নামে একটি ফেসবুক পেজ, আইডি এবং করাপশন ইন মিডিয়া নামে একটি পেজ থেকে সাংবাদিক সাজেদা পারভীনকে উল্লেখ করে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করা হয়। যেখানে ঐ নারী সাংবাদিকের অনুমতি ছাড়া তার ছবিও ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া সাজেদা পারভীনের ব্যক্তিগত পাসপোর্ট ও তার নাম দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভূয়া পরিচয়পত্র বানিয়ে তা ফেসবুকে ছড়ানোর জন্যও জাওয়াদ নির্ঝরের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। ফেসবুকে জাওয়াদ নির্ঝরের পোস্টগুলো দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথেই সাজেদা পারভীন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জাওয়াদ নির্ঝরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, জাওয়াদ নির্ঝর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা, অসত্য ও বানোয়াট তথ্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়াচ্ছেন। এজাহারে জাওয়াদ নির্ঝরকে করাপশন ইন মিডিয়া নামক ফেসবুক পেজের এডমিন এবং তার পিতা: আবু মোশাররফ হোসেন, বাড়ি: টিডিসি পাড়া, মাগুরা উল্লেখ করা হয়। জাওয়াদ নির্ঝরের পিতা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় কর্মরত।

মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে রমনা থানার ওসি জানান, যে, যারা কিংবা যে সব পেজ থেকেও জাওয়াদ নির্ঝরের ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো শেয়ার এমনকি লাইক, কমেন্ট করেছেন তারাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উক্ত ধারা অনুযায়ী জাওয়াদ নির্ঝরের পাশাপাশি তার সহায়তাকারী হিসেবে গণ্য হবেন। তাদের বিরুদ্ধেও অচিরেই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়াও ওসি জানান, জাওয়াদ নির্ঝরের ফেসবুক আইডি ঘেটে জানা যায় তিনি প্রায়ই ফেসবুকে সরকার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য তথ্যদিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে অন্য কোন ইন্ধন আছে কিনা তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।

সাংবাদিক সাজেদা পারভীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জাওয়াদ নির্ঝর তার পূর্ব পরিচিত এবং তারা দুজনেই একসময় গাজী টিভিতে সহকর্মী ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content