অন্যান্য

মধ্যপ্রাচ্যেসহ সমগ্র বিশ্বে প্রবাসীদের নিকট ইসলামী ব্যাংক বিশেষভাবে জনপ্রিয়:-মোঃ জালাল মিয়া, আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

  বিশেষ সংবাদদাতাঃ ২৯ মার্চ ২০২৩ , ৮:৩২:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোঃ জালাল মিয়া বলেছেন-“মধ্যপ্রাচ্যেসহ সমগ্র বিশে^ বাংলাদেশী প্রবাসীদের নিকট ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বিশেষভাবে জনপ্রিয়। আমি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ঘুরেছি। সে সব দেশে অবস্থানকালে আমি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে কথা বলেছি। কিভাবে তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে প্রেরণ করেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তাদের অধিকাংশ মানুষ বলছেন তারা মূলত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর মাধ্যমে দেশে অর্থ প্রেরণ করে থাকেন। এর কারন উল্লেখ করে প্রবাসী ভাইয়েরা বলেন ইসলামী ব্যাংকের উপজেলা পর্যায়সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে শাখা ও উপশাখা রয়েছে। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ তুলতে আলাদা বুথ রয়েছে। এ ব্যাংকের সেবা আন্তরিকতাপূর্ণ। এ কারনেই আমরা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত হয়েছি”। আমাকে প্রবাসী ভাইদের অনেকেই বলেছেন তারা বিশেষ প্রক্রিয়ায় মূলত হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা প্রেরণ করেন। আমি ঐসব প্রবাসী ভাইদের সাথে কথা বলেছি। আমি তাদের জানিয়েছি- আপনার কষ্টার্জিত অর্থের নিরাপত্তা, দেশের স্বার্থে ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠালে আপনি উপকৃত হবেন। দেশ জানবে আমি দেশপ্রেমিক নাগরিক। আমার এ উৎসাহে তারা এখন ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা প্রেরণ করে আসছে।

মোঃ জালাল মিয়া বলেন-“কিছুদিন আগে আমি একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে জাতিসংঘ সম্মেলনে অমেরিকা সফরে গিয়েছিলাম। সেই সময়ে পেশাগত দায়িত্বের ফাঁকে ফাঁকে বাংলাদেশীদের সাথে কথা বলেছি। যারা ঐ দেশে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত তারা কিভাবে দেশে টাকা পাঠান তা জানার চেষ্টা করেছি। যাদের সাথে কথা বলেছি তাদের মধ্যে অনেকেই দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠিয়ে থাকে। অনেকে আবার হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে থাকে। আমি তাদের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোর লক্ষ্যে নানাভাবে উৎসাহিত করেছি”। “দৈনিক সমাজ সংবাদ” এর পক্ষ্যে আমি মোঃ জালাল মিয়াকে প্রশ্ন করেছিলাম- এই যে আপনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ নিয়ে কথা বলছেন, ইসলামী ব্যাংক সর্ম্পকে আপনার ধারনা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-“ইসলামী বাংলাদেশ লিঃ ইসলামী ধারার ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রথম বাংলাদেশ শুরু করে। ইসলামী আদর্শের ভাবধারায় সম্পূর্ণ শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর বিশেষ আস্থা অর্জন করে। এদেশের গ্রামে-গঞ্জে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ইসলামী ব্যাংকের সাথে নানা কারনে যুক্ত”। তিনি বলেন-“হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় ওআইসি সম্মেলনে যোগদান করেন। ঐ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুসলিম দেশ সমূহে আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ঐ বছরই জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসি দেশ সমূহের অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ আইডিবি সনদ সাক্ষর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারী-বেসরকারী নানা উদ্যোগ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বলিষ্ঠ ভূমিকায় বাংলাদেশে তথা দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক রূপে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ ১৯৮৩ সালে কার্যক্রম শুরু করে”।

আমি মোঃ জালাল মিয়ার নিকট জানতে চেয়েছিলাম- একজন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিভিন্ন দেশ ঘুরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করছেন কেন? ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর কি বিশেষত রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-“আপনি নিশ্চয় জানেন আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা ব্যাংকিং চ্যানেলে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকে। ব্যাংকিং ভাষায় এ অর্থকে রেমিট্যান্স বলে। এ রেমিট্যান্স আমাদের রিজার্ভে যুক্ত হয়ে দেশকে অন্তর্জাতিক বিশে^ সমৃদ্ধ করে। এই অর্জনে দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি রেমিট্যান্স আহ্রনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে এই ব্যাংকটি”। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন-“ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ ২০২২ সালে আমদানী ও রপ্তানী বানিজ্যে ও রেমিট্যান্স আহ্রনে অর্জন করেছে যথাক্রমে ৭৫ হাজার ৪০৪ কোটি, প্রায় ৩৬ হাজার ৯৬৩ কোটি এবং প্রায় ৪৪ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা। এদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এর গুরুত্ব অপরিসীম”। তিনি বলেন-“ এদেশের দল ও মতের উদ্দে ধর্ম-বর্ণ শ্রেনী-পেশা নির্বিশেষে সব মানুষের বিশেষ আস্থা অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যাংকটি সকল মহলের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এ ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেশের ব্যাংকিং খাতের শীর্ষে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ এ ব্যাংকটির সেবাকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে যুক্ত করেছে”। পরিশেষে তিনি বলেন-“ সাফল্যের উচ্চ-শিখরে থাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ কে নিয়ে নানা সময়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর কর্মের সততা, কোটি কোটি গ্রাহকের আস্থা আজ সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়েছে। তিনি বলেন- এ ব্যাংকের ২ কোটি গ্রাহকের ৪ কোটি হাত, ৪ কোটি চোঁখ সদা জাগ্রত। তাই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ আছে এবং আগামীতেও থাকবে- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অঙ্গীকার হয়ে”।

আরও খবর

Sponsered content