গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ৪ জানুয়ারি ২০২৩ , ৫:১০:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুূয়াশার মধ্যেও ভোটারদের উপস্থিতি বেশ ভালো। তবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে এখন পযন্ত মহিলা ভোটারের উপস্থিতি লক্ষনীয়। জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় ১ শ ৪৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। এ নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)। ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো.ফজলে রাব্বি মিয়া মারা গেলে ওই আসনটি শূন্য হয়। পরে ১২ অক্টোবর বুধবার শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোটের অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনার আজ দ্বীতিয় দফা এই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। এব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার আবদুল মোত্তালিব জানান, গত বছরের ভুল ত্রুটি গুলো মাথায় রেখে এবার আরো বেশী সতর্কতা নেওয়া হয়েছে । ১ শ ৪৫ টি কেন্দ্রর মধ্যে ৭২ টি কেন্দ্র গুরুত্বপুর্ণ ও সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরে অবস্থিত ৩২ কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপুর্ণ বিবেচনা করে সেখানে বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । ভোট অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনি বলেন,ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও আইনশৃংখলা বজায় রাখতে ম্যাজিষ্ট্রেট ,ভ্রাম্যামান আদালত ,বিজিবি,র্যাব ,পুলিশ আনছার সহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আছে। গাগন্ডগোলের কারনে গত ১২ আগষ্টের এমপি ভোট দিতে পারেনি গাইবান্ধার সাঘাটা ফুলছড়ি উপজেলার মানুষ। এবার সেন্টারে গন্ডগোল নাই তাই ছেলেকে সাথে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন । ঠান্ডায় কাহিল অবস্থা তবু এক কাপড়ে ভোট দিতে আসেন । গাইবান্ধা -৫ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ভোটের সেন্টারে গোলমাল নেই তাই আছিয়া বেগম ছেলে রেজাউল করিমের ঘারে ভর করে সাঘাটা পাইলট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন । কাকে ভোট দিবেন তা বলতে রাজি না হলেও তিনি বলেন ভোট দেমো এই । হাসি খুশি মন নিয়ে তিনি ভোট কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন আর বলেন বাবা হামরা মারামারি চাই না ।