অর্থনীতি

ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রথম শরিয়াহ্ ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে-দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে -মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও

  অনক আলী হোসেন শাহিদী ২২ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:৪০:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ইসলামিক ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (আইএফআইএল) একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম। ২০০১ সালের ২৭ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ব্যাংকের অনুমোদন ক্রমে প্রথম শরিয়াহ্ ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে একই বছরে ১২ এপ্রিল থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ইতোমধ্যে এ আর্থিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে চলায় ২২ বছর অতিক্রম করেছে। কতটা সফল হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি এ নিয়ে কথা বলছি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সাথে। তিনি ২০২২ সালের ৭ই আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৩২ বছরের ব্যাংকিং জীবনে তিনি সর্বশেষ উত্তরা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের প্রথম ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আই এফ আই এল  এর কি কি আর্থিক প্রকল্প রয়েছে একই সাথে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিনিয়ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে আপনার করণীয় কি? এসব নানান বিষয় কথা বলছি- এই অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এর সাথে। এসব আলাপচারিতার বিশেষ অংশ তুলে ধরছি।
আই এফ আই এল – এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে- দায়িত্ব গ্রহণের পরে – আপনি প্রতিষ্ঠানটির সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছু বলুন- এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘আপনি নিশ্চয়ই জানেন ২০০১ সালের ১২ই এপ্রিল আইএফআইএল বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি প্রথম ইসলামী  শরিয়াহ  ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যার রয়েছে মজবুত ও টেকসই আর্থিক ভিত্তি। প্রতিষ্ঠানটির তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। একই সাথে আই এফ আই এল তার অভিজ্ঞ পরিচালকমন্ডলী ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে ও আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরনের আমানতে বিনিয়োগ প্রকল্পের কারণে আজ অন্যতম  টেকসই প্রতিষ্ঠান রূপ নিয়েছে।’’ ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনার প্রতিষ্ঠানের আমানত পণ্যসমূহ সম্পর্কে কিছু বলুন- এ প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ মুদারাবা আসান ডিপোজিট স্কিম, মুদারাবা মুহসিনাত (মহিয়সী নারী) মুদারাবা আশ শিফা, মুদারাবা আতফাল (স্কুল ব্যাংকিং ) মুদারাবা দ্বিগুণ/তিনগুণ সম্ভাব্য ডিপোজিট স্কিম, মুদারাবা মেয়াদী আমানত,  মুদারাবা মাসিক মুনাফা ভিত্তিক মেয়াদি আমানত, মুদারাবা লাখপতি/কোটিপতি (সম্ভাব্য) ডিপোজিট স্কিম, মুদারাবা মোহর ডিপোজিট স্কিম, মুদারাবা গৃহনির্মাণ  ডিপোজিট স্কিম, মুদারাবা পেনশন ডিপোজিট, মুদারাবা হজ্জ ডিপোজিট  স্কিম ও মুদারাবা  ক্যাশ ডিপোজিট স্কিম। এসব স্কিম বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্মানিত আমানত কারীদের ব্যক্তিগত জীবনে অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করছে একই সাথে তাদেরকে ভবিষ্যতে সমৃদ্ধে জীবনের জন্য সঞ্চয়ের মনোভাব সৃষ্টি করছে। ’’
আই এফ আই এল- ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এর নিকট জানতে চেয়েছিলাম যে সব আমানত প্রকল্প সম্পর্কে আপনি বলেছেন- তার বিস্তারিত বিবরণ বলবেন কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আই এফ আই এল -এর সকল আমানত প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করেন। তিনি বলেন,’’ মুদারাবা  আসান ডিপোজিট স্কিম এর বাংলা অর্থ হচ্ছে সঞ্চয় করুন। যখন যেমন খুশি। এ প্রকল্পের মূলত সঞ্চয়ে রাখার মতো কখন কত টাকা হবে -সেটা যাদের জানা নেই তাদের জন্য। এ প্রকল্পে পাঁচশত টাকা অথবা এর গুণিতক যেকোনো পরিমাণ টাকা জমা রাখা যাবে। এ প্রকল্পের সর্ব নিম্ন মেয়াদ এক বছর। বিশেষ এই প্রকল্পে বিশেষ মুনাফার হার প্রদান করা হয়। আসান ডিপোজিট স্ক্রীম-  একটি স্বতন্ত্র আমানত স্ক্রীম। এ স্কীমে যাতে বাজারের অন্যান্য স্কীমের মতো প্রতিমাসে একটি নিদৃষ্ট পরিমান স্কীম জমা করার বিষয় নেই। গ্রাহক তার ইচ্ছেমত যে কোন সময় যে কোন পরিমান অর্থ জমা করতে পারবেন। জমাকৃত অর্থের উপর প্রতিদিন মুনাফা পাবেন। এ স্কীমে বছরে নূন্যতম ৪টি কিস্তি জমা দিতে হবে। এক কিস্তি সর্ব্বোচ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা দেয়া যাবে।’’ তিনি বলেন- ‘‘আই এফ আই এল- নারীদের মর্যাদা কে সমুন্নত রাখতে- মুদারাবা মুহসিনাত বা মহিয়সী নারী প্রকল্প চালু করেছে।’’ এ প্রকল্পটির মূল্যায়ন করতে গিয়ে পবিত্র একটি হাদিসের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ঐ পবিত্র হাদীসে বলা হয়েছে- ‘‘তোমরা নারীদের ব্যাপারে  কল্যাণকামী হও’’। তিনি বলেন- ‘‘এ প্রকল্পের বৈশিষ্ট হচ্ছে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে।’’
তিনি আই এফ আই এল এর মুদারাবা ‘‘আশ-শিফা’’- প্রকল্প সর্ম্পকে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন- ‘‘ মানব জীবনে সুস্বাস্থ্যের বিকল্প নেই। তাই আই এফ আই এল- আমানতকারীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চালু করেছে-মুদারাবা আশ শিফা হেলথ চেকআপ বেসিক প্রোগ্রাম। আমানতকারীগণ নিদৃষ্ট অঙ্কের টাকা এম টি ডি আর বা এককালীন রেখে ৫টি আকর্ষনীয় প্যাকেজের মধ্যে যে কোন টি বেছে নিতে পারেন। দেশে এবং দেশের বাইরে রিটার্ন এয়ার টিকিটসহ নির্ধারিত হাসপাতালে বেসিক হেলথ চেক আপ ফ্যাসালিটিজ নিতে পারবেন।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেনÑ ‘‘এ প্রকল্পের ৫টি বৈশিষ্ট হচ্ছে ২৫ লক্ষ টাকা হতে ৪৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯শত ৯৯টাকা- মুদারাবা ব্রঞ্জ প্রকল্প ৫০ লক্ষ টাকা হতে ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯’শত ৯৯ টাকা। মুদারাবা সিলভার প্রকল্প, ১ কোটি টাকা হতে ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯ শত্ত ৯৯ টাকা- মুদারাবা গোল্ড প্রকল্প, ৫ কোটি টাকা হতে ৯ কোটি ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯ শত ৯৯ টাকা- মুদারাবা প্লাটিনাম প্রকল্প ও ১০ কোটি টাকার উদ্ধে মুদারাবা সিগনেচার প্রকল্প রয়েছে। যে কোন প্রয়োজনীয় মুহুর্তে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যেতে পারে’’ আই এফ আই এল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন তার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য আমানত প্রকল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন-‘‘ আমাদের মুদারাবা ‘‘ আত্তফাল’’- তথা স্কুল ব্যাংকিং প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা ও সঞ্চয়ের মানসিকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি চালু করেছে। ৬ থেকে ১৮ বছেরের কম বয়সের শিক্ষার্থীরা ‘‘আতফাল’’- নামক স্কুল ব্যাংকিং হিসাবটি খুলতে পারেন। এ প্রকল্পে নূন্যতম প্রারম্ভিক জমা ১০০ টাকা জমা গ্রহণ পূর্বক হিসাবটি খেলা হয়। এ প্রকল্পে সরকারী ফি ছাড়া অন্য কোন সার্ভিস চাজ কাটা হয় না।’’ তিনি বলেন, ‘‘ আই এফ আই এল- এর মুদারাবা মেয়াদী আমানত প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় সম্মানিত আমানতকারীরা এককালীন জমার বিপরীতে ৩ মাস ৬ মাস ১ বছর ২ বছর ৩ বছর বা তদুর্ধ্ব মেয়াদে এ হিসাব খুলতে পারেন। আপনার অনেক কষ্টে অর্জিত এককালীন জমার বিপরীতে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে উপযুক্ত লভ্যাংশ প্রদান করা হয়ে আসছে। উল্লোখ যে, আপনার অতি প্রয়োজনে মোট সঞ্চয় থেকে খুব সামান্ন চার্জ যোগে শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত উত্তোলন সুবিধা নেয়া যায়। এছাড়া প্রতি মাসে আয়ের লক্ষ্যে ৫০ হাজার টাকা বা তদুর্ধ্ব যে কোন পরিমান টাকা ১২, ২৪, ৩৬ অথবা ৬০ মাস মেয়াদে জমা করতে পারেন। এ হিসাবটি খোলার পরবর্তী মাসের শুরুতে সর্ব্বোচ্চ হারে প্রদেয় মুনাফা আপনার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসেবে পৌছে দেয়া হয়ে থাকে। নানা কারণে আমাদের লাখপতি ও কোটিপতি প্রকল্প দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’’
আই এফ আই এল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ ইসলামী নারীদের সর্ব্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে- এই মর্যাদা কে সমুন্নত রাখতে আমরা কাজ করছি। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী আমরা জানি স্ত্রীর দেন মোহর কোন ভাবেই মাফ যোগ্য নয়। তবে দেন মোহর নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আই এফ আই এল। এই প্রকল্পে প্রতিমাসে প্রয়োজনমত সঞ্চয় করুন আপনার বা আপনার সন্তানের জন্যে।’’ তিনি বলেন- ‘‘ আমাদের সম্মানিত গ্রাহকের প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুযায়ী- মুদারাবা গৃহ নির্মাণ স্কীম, মুদারাবা পেনশন ডিপোজিট স্কীম মুদারাবা হজ্ব ডিপোজিট স্কীম ও মুদারাবা ক্যাশ ওয়াকফ স্কীম চালু রয়েছে। এ সব সুবিধা আপনার অর্থনৈতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করবে।’’ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম ইতিবাচক বৈশিষ্ট হচ্ছে আমানতকারীদের গ্রহনকৃত আমানত সঠিক ও টেকসই বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রকৃত উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা। কারণ একজন সফল ও দায়িত্বশীল উদ্যোক্তাই পারে দেশকে সমৃদ্ধ করতে। অর্থনীতির- এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে আই এফ আই এল তাদের সংগ্রহকৃত আমানতের অর্থ বিনিয়োগ করেছে সফলতার সাথে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশররফ হোসেন আই এফ আই এল এর বিনিয়োগের অর্থ বিনিয়োগকারী কিভাবে ব্যবহার করছেন তার সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রতিটি বিনিয়োগ গ্রহণকারীকে তার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বিনিয়োগের অর্থ সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তুলে এনে পরবর্তী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করা। এ প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক- এই  প্রতিনিধিকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন-‘‘ সারা দেশে আই এফ আই এল এর ৮টি শাখা রয়েছে। এই ৮টি শাখা হচ্ছে প্রধান শাখা ঢাকার মতিঝিল এলাকায়। অন্যান্য শাখা হচ্ছে বগুড়া শাখা, নারায়নগঞ্জ শাখা, উত্তরা শাখা, চট্টগ্রাম শাখা, চৌমুহনী শাখা, নয়াবাজার শাখা ও গাজীপুর শাখা। প্রতিদিনই এসব শাখার বিনিয়োগ কারীদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত বিনিয়োগ আদায়ে কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি-ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বিনিয়োগ গ্রহণকারী উদ্যোক্তা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুসর্ম্পক প্রতিনিয়ত নিশ্চিত করা সম্ভব। আমার এই অভিজ্ঞতার আলোকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক এর  সকল নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করে আমরা কাজ করছি। তাদের পরামর্শ ও আমার ব্যাংকিং জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি ঋণ প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করে সঠিক বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। কারণ আমার লক্ষ্য হচ্ছে, আমাদের ১০ হাজারের অধিক আমানতকারীর অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সঠিক ও টেকসই বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা। আমরা মূলত সেই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি।’’
আমি যখন আই এফ আই এল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সাথে তার প্রতিষ্ঠানের নানা দিক নিয়ে কথা বলছিলাম, তখন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটি ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অফ রিকোভারী মো: তৌফিকুল হাকিম। তিনি দেখছিলেন তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশররফ হোসেন কতটা দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য ও সম্ভবনা নিয়ে আমার সাথে কথা বলছেন। এ বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘‘ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও ইতিবাচক কার্যক্রমে আমরা খুবই আশাবাদী। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা-রেখেই বলছি-আগামীতে আমরা আরো ভালো করবো, ইনসাআল্লাহ।’’
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘‘একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিতে সততা, আন্তরিকতা ও কাজের অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠান প্রধানের তৃতীয় নয়ণ বা বিবেকের চোখকে সর্বদা সজাগ রাখা জরুরী। আমরা আমাদের পেশাগত কাজে সেই তৃতীয় নয়নকে সর্বদা জাগ্রত রাখছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘আই এফ আই এলকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন ও বিধি অনুযায়ী পরিচালনা করছি। আমাদের এ কাজের প্রতিষ্ঠানটি মালিক পক্ষের কোন অনৈতিক চাপ নেই ফলে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে তার নিজস্ব গতিতে।’’
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘আই এফ আই এল তাদের আমানতের অর্থ বিনিয়োগের বাস্তব সম্মত প্রকল্প গ্রহণ করে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানের উল্লেকযোগ্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে- কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝরি উন্নয়নে বিনিয়োগ, সব ধরণের ভোগ্যপণ্য সমূহে বিনিয়োগ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যে বিনিযোগ, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে বিনিয়োগ, সবুজ বিনিয়োগ, শিল্প ও কলকারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ সেবা, ফøাট ও এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় মেরামত ও সাজসজ্জায় বিনিয়োগ, দোকান ক্রয় ও মেরামত বিনিয়োগ, বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত গাড়ী এবং পরিবহন ক্রয়ে বিনিয়োগ, উৎপাদনশীল সব ধরনের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে বিনিয়োগ, হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ব্যবহারে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে বিনিয়োগ, লিফট জেনারেটার, কনস্ট্রাকশন ইকুইপমেন্ট ও অন্যসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ে বিনিয়োগ ও একটি জামানতবিহীন নারী উদ্যোক্তা বিনিয়োগ রয়েছে। দক্ষ ব্যবসায়ীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এ সুবিধা নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এস এম ই তথা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা উদ্যোক্ত তৈরী করছি। বিনিয়োগের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্যে রয়েছে-আমাদের এ ঝাঁক দক্ষকর্মী। আমাদের প্রধান কার্যালয়সহ ৮টি শাখায় তারা কাজ করছেন।’’ পরিশেষে তিনি বলেন, ‘‘আই এফ আই এল এ দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে কাজ করছে। আমাদের এ অগ্রযাত্রায় সংশ্লিষ্ট সকলের  ইতিবাচক সহযোগীতা কামনা করছি।’’

আরও খবর

কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করতে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আলি কদরকে আগামী ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দাবী করছেন সংশ্লিষ্টরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস- গ্রন্থ প্রকাশনায় অনেকের মধ্যে জি এম আবুল কালাম আজাদের ভূমিকাঃ  একটি পর্যালোচনা

ঢাকা ওয়াসার গত অর্থবছরের বিল কালেকশনে প্রথমস্থান অধিকার করল নগদ লিমিটেড

রিহ্যাব এর বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ || আবাসন ব্যবসায়ীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছি – আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট

গত এক বছরে নির্মাণসামগ্রীর দাম আকাশ ছোঁয়া ভেঙেছে অতীতের সব রেকর্ড

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৮৪৫ তম সভা অনুষ্ঠিত

Sponsered content

আরও খবর: অর্থনীতি

সিটির সঙ্গে একীভূত না করতে গভর্নরকে বেসিকের কর্মীদের স্মারকলিপি

ওসিডিএল এর নেতৃত্বে- নিরাপদ ও লাভজনক আবাসনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমিন সিটি পূর্বাচলের পথচলা শুরু হয়েছে

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেললে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এর দৃষ্টি আকর্ষণ : চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক-এর নাম প্রস্তাবে ব্যাপক অনিয়ম

এশিয়ান ক্যান্সার ইনস্টিটিউট বিডি প্রাইভেট লিমিটেড এবার কাজ করছেন মরণব্যাধি ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে

রিহ্যাব এর বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ || আবাসন ব্যবসায়ীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছি – আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট