জাতীয়

আতিউর রহমানের লেখা “বঙ্গবন্ধু সহজপাঠ” গ্রন্থের নেপথ্যের নায়ক জিএম আবুল কালাম আজাদ : একটি অনুসন্ধানী গবেষণা

  অনক আলী হোসেন শাহিদী ঃ ১৩ জুন ২০২৩ , ৫:৫৪:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। একটি নাম। একটি ইতিহাস। একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তের প্রতীক। শুধু ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তই নয় গনতন্ত্র, দেশপ্রেম, অত্মত্যাগ এবং মানুষের জন্য এক বিশ^জনীন ভালবাসার প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে এবং জাতিকে জানাতে ইতোমধ্যে অনেক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তুু এদেশের শিশুদের জানাতে প্রকাশিত হয়েছে এক অনন্য গ্রন্থ “বঙ্গবন্ধু সহজ পাঠ”। তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটি লিখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।
প্রতিটি গবেষণা, রচনা ও মহৎ সৃষ্টির পেছনে কিছু নেপথ্যের নায়ক থাকেন। যারা ঐ গবেষণা রচনা ও মহৎ সৃষ্টির পেছনে নিরলস কাজ করে থাকেন। এই বাস্তবতা আমরা ঠিক কতজন জানি? কতজনই বা এর মূল্যায়ন করি? তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব- তার বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার পেছনের নায়কদের মূল্যায়ন করতেন, ভালোবাসতেন, সম্মান করতেন। তদানীন্তন সময়ে মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার পেছনে ছিলেন এ দেশের সাড়ে সাত কোটি জনতার ১৫ কোটি হাত। সর্বশেষ জীবন দিয়ে তাদের সম্মুন্নত করে গেছেন। এ জন্যেই বুকের জমিন থেকে উঠে আসে এক ঐতিহাসিক শব্দমালা- একনেতা একদেশ- আমার বঙ্গবন্ধু, আমার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের লেখা “বঙ্গবন্ধু সহজপাঠ” গ্রন্থ সর্ম্পকে কিছু লিখতে গিয়ে সেই ঐতিহাসিক মানুষটির কথা মনে পড়লো- যিনি এই বইটি রচনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া প্রচার বিমুখ এই মানুষটির নাম জিএম আবুল কালাম আজাদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক।
বঙ্গবন্ধু সহজপাঠ গ্রন্থটি ২০১২ সালের ১৭ই মার্চ প্রকাশিত হয়েছে। চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত এই বইয়ের প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়- বইটির পান্ডুলিপি রচনা করেছেন- আতিউর রহমান। বইটির প্রধান সম্পাদক ছিলেন- এ কে এম শামীম চৌধুরী, সিনিয়র সম্পাদক- হোসনেআরা আক্তার, সম্পাদক- রোকসানা আক্তার, প্রচ্ছদ- হাসেম খান, শিল্প নির্দেশনা- মোঃ মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া, সম্পাদনা সহযোগী- রফিকুল ইসলাম, সম্পাদনা সহকারী- আনোয়ারা খাতুন, সানজিদা আহমেদ, ক্ষিরোদ চন্দ্রন বর্মন ও জান্নাতে রোজী। বইটি ছাপা হয়েছে- বাংলাদেশ সরকারী মুদ্রানালয় থেকে। এটি বইয়ের প্রকাশিত তথ্য।
“বঙ্গবন্ধু সহজপাঠ” বইটির অপ্রকাশিত তথ্য হচ্ছে- এই বইয়ের প্রকাশনায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যিনি শ্রম দিয়েছেন- একের পর এক তথ্য সাজিয়েছেন- তিনিই হচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক- জিএম আবুল কালাম আজাদ। আমার ব্যাপক অনুসন্ধান করে এই গভীর সত্যটি তুলে এনেছি।


“বঙ্গবন্ধু সহজপাঠ” একটি ঐতিহাসিক গ্রন্থ। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে- বাংলাদেশের সকল শিশুর জন্য- যাদের মুখের হাসি ফোটাতে বঙ্গবন্ধু আজীবন লড়াই করেছেন।
“বঙ্গবন্ধু সহজপাঠ” বইটি মোট ৬০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে। এই ৬০ পৃষ্ঠার সূচীতে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক বিষয়। এসব সূচীর মধ্যে ১। প্রাক কথন, ২। বঙ্গবন্ধুর জন্ম, বংশ পরিচয়, ৩। বঙ্গবন্ধুর স্কুল জীবন, বিবাহ, রাজনৈতিক দীক্ষা, বঙ্গবন্ধুর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা, ৪। গ্রাজুয়েশন লাভ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি, বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে গ্রেফতার, ৫। পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু- বঙ্গবন্ধুর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ, আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত/যুক্তফ্রন্ট গঠন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বিশাল জয় লাভ, বঙ্গবন্ধু গনপরিষদ সদস্য নির্বাচিত, ৬। বঙ্গবন্ধুর প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন দাবী, মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ, ৭। সামরিক শাসন জারি ও রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ গঠন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠন, আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত, বঙ্গবন্ধুর কারাদন্ড, আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত, ঐতিহাসিক ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৮। ’৬৯ এর গণআন্দোলন- আগরতলা মামলা প্রত্যাহার, ৯। বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশের নামকরন, ’৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়, ১০। ’৭১ এর জাতীয় পরিষদের বৈঠক, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন, ১১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা ও মুক্তিযুদ্ধ, ১২। বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার ও কারাবাস, ১৩। পাকিস্তান কারাগারে নির্ভীক বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ সরকার গঠন ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, ১৪। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, ১৫। ’৭৩ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অবিস্মবনীয় জয়, ১৬। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতি দান, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষন, ১৭। বঙ্গবন্ধুর শাসনামল: সাফল্য, ১৮। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরী পদক লাভ, ১৯। অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কৃষক প্রীতি, ২০। বঙ্গবন্ধুর শিশু স্নেহ, ২১। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি, ২২। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা, ২৩। বাঙালি জাতির কলঙ্কময় দিন- অমর বঙ্গবন্ধু, ২৪। বঙ্গবন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, ২৫। উপসংহার।
“বঙ্গবন্ধু সহজ পাঠ” গ্রন্থের প্রাক কথন থেকে উপসংহার পর্যন্ত ২৪টি পূণাঙ্গ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুর জীবন চিত্র ধারাবাহিকভাবে লেখা হয়েছে। এদেশের শিশুদের জন্য এক অনন্য মাইল ফলক। বইটির প্রতিটি শিরোনাম রচনার পেছনে বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু প্রেমিক ব্যক্তিত্ব জিএম আবুল কালাম আজাদের নীরব প্রচেষ্টা ছিল। যা এ নিবন্ধের অনুসন্ধানে প্রকাশিক হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিকভাবে একজন ক্ষণজন্ম ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মূলত দরবেশ শেখ আওয়াল এর অষ্টম বংশধর। দরবেশ শেখ আউয়াল ১৪৬৩ খ্রিষ্টাব্দে হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র) এর সফরসঙ্গী হিসেবে বঙ্গদেশে আসেন। এই ঐতিহাসিক চিত্রটি চমৎকারভাবে এ বইতে স্থান পেয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শন- একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। তার স্কুল জীবন, বিবাহ ও রাজনৈতিক দীক্ষা ও ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা এসব কিছুর মধ্যে সাহসীকতা ও ত্যাগের দৃষ্টান্ত রয়েছে। ১৯৪২ সালে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় রাজনীতিতে সম্মৃক্ততা, ১৯৪৪ সালে ফরিদপুর ডিষ্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন এর সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া, ১৯৪৬ সালে কলেজ সংসদে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া একই বছর খাজা মইনুদ্দীন চিশতীর মাজার জিয়ারত এর বর্ণনা বইটি সমৃদ্ধ করেছে। ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধুর গ্রাজুয়েশন লাভ, ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি ও মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা ও ভাষা আন্দোলনে তার গ্রেফতার হওয়ার ইতিহাস বইটিকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। ১৯৪৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত ও গ্রেফতার হওয়া, ১৯৫২ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধুর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ, ১৯৫৩ সালে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া ও যুক্তফ্রন্ট গঠন এ বইতে স্থান পেয়েছে সহজ-সরল শব্দের গাঁথুনীতে, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিশাল জয়লাভ, বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীত্ব লাভ, ১৯৫৫ সালে বঙ্গবন্ধুর গনপরিষদের সদস্য নির্বাচিত, ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীত্ব লাভ ও প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসন দাবি ও ১৯৫৭ সালে মন্ত্রীসভা থেকে তার পদত্যাগ এর ইতিহাস এ বইকে সমৃদ্ধ করেছে। ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক শাসন জারী ও রাজনীতি নিষদ্ধ ঘোষনা, ১৯৬১ সালে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ গঠন, ১৯৬২ সালে জাতীয় গণন্ত্রাতিক র্ফন্ট গঠন, ১৯৬৩ সালে সোহ্রাওয়ার্দীর ইন্তেকাল, ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত, ১৯৬৫ সালে কারাদন্ড ও ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ঐতিহাসিক তথ্যগুলো বইটিতে সহজ-সরল ভাষায় স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ৬ দফার ষোঘনা, ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ তীব্র আন্দোলন- আগরতলা মামলা প্রত্যাহার, “বঙ্গবন্ধু” উপাধি লাভ, গোল টেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর যোগদান, প্রত্যাখ্যান, সামরিক শাসন জারী ও বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশের নামকরন- এর ঐতিহাসিক কাহিনীগুলো সাবলীল ভাষায় বইটিতে স্থান পেয়েছে, ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নিরঙ্কুশ বিজয়, ১৯৭১ সালের জাতীয় পরিষদের বৈঠক, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া পূর্ণাঙ্গ ভাষন, ১৯৭১ সালের ২৫শে’ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা ও মুক্তিযুদ্ধ এরপর বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার ও কারাবাস এবং পাকিস্থানের কারাগারে নির্ভীক বঙ্গবন্ধু শিরোনামে বেশকিছু ঐতিহাসিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে বেগম মুজিবের সাহসী ভাষন-“বাংলার স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দিয়ে আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে চাই না” এ কথাগুলো সত্যিই এ বইটি সমৃদ্ধ করেছে ঐতিহাসিকভাবে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল- বাংলাদেশ সরকার গঠন ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, ১৯৭২ সালে পাকিস্তান কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন- আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতি দান ও জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলা ভাষন এর ইতিহাস এ বইটিতে তুলে ধলা হয়েছে, সংক্ষিপ্তভাবে সমৃদ্ধ শব্দচয়নে।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর শাসনামল ও সাফল্য, ১৯৭২ সালে জুলিও কুরি পুরস্কার লাভসহ অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কৃষক প্রীতি, বঙ্গবন্ধুর শিশু স্নেহ, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি, ১৯৭৫ সালে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট- বাঙ্গালী জাতির কলঙ্কময় দিন, অমর বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও উপসংহার পর্যন্ত ধারাবাহিক ঐতিহাসিক বিবরনকে মনে হয়েছে এক বিরামহীন চলচিত্র। পাঠক হিসেবে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা আমি বঙ্গবন্ধুর জীবনে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। বইটি ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার সুন্দর। এ বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অংশ হলো বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভাষনের অংশ বিশেষ। এতে গুরুত্বপূর্ণ ১২টি ভাষনের অংশ বিশেষ স্থান পেয়েছে।

১৯৭২ সালের ২৬শে’ মার্চ বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষনে তিনি বলেন-“শাসন বাংলাকে আমরা সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে চাই। সে বাংলায় আগামী দিনের মায়েরা হাসবে, শিশুরা খেলবে। আমরা শোষণ মুক্ত সমাজ গড়ে তুলব”। ১৯৭১ সালের ৭ই’ মার্চে তিনি বললেন-“মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিবো। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।

যতই “বঙ্গবন্ধু সহজ পাঠ” পড়ছি এবং কিছু লিখছি ততই মনে পড়ছে প্রচার বিমুখ বঙ্গবন্ধু প্রেমিক জিএম আবুল কালাম আজাদের কথা। যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের বইয়ের পান্ডুলিপিকে সমৃদ্ধ করেছেন একান্ত নিরবে। এই বইটির সাথে জিএম আবুল কালাম আজাদের নীরব প্রেম তার ব্যক্তি অন্তরকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, জিএম আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পদে কর্মরত। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মজীবনে তিনি সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের সময়ে তিনি “বঙ্গবন্ধু সহজ পাঠ” বইটি গভীর নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে নীরবে শ্রম দিয়েছেন। এ বইয়ের প্রতিটি শিরোনামে জিএম আবুল কালাম আজাদের আন্তরিক ও একনিষ্ঠ শ্রম রয়েছে। আমাদের নিবিড় অনুসন্ধানে সেই গভীর সত্য উন্মোচিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে জিএম আবুল কালাম আজাদ আমাকে বলেন-“বঙ্গবন্ধুর দেহে ঐতিহাসিকভাবে ওলী আল্লাহগনের বংশধরদের পবিত্র রক্ত প্রবাহিত। তিনি এদেশকে ভালবেসেছিলেন, নিজের প্রাণের বিনিময়ে সমগ্র জীবন তিনি শুধু ত্যাগই করেছেন। স্ব-পরিবারের জীবন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সেরা মহানায়ক হয়ে আছেন”। তিনি আরো বলেন-“বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ত্যাগের মহিমা দিয়ে এদেশকে সমৃদ্ধ করেছেন- এই মহান কাজে আমি বঙ্গবন্ধু কন্যার একজন কর্মী হতে চাই। এই প্রত্যাশা নিয়ে প্রতিদিন কাজ করছি, অপেক্ষা করছি, অপেক্ষা করবো- আমৃত্যু ইনশাহআল্লাহ।

আরও খবর

Sponsered content

আরও খবর: জাতীয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ ইং উপলক্ষে জেলার “শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান” নির্বাচিত || ফরিদপুরের ভাংগা’র ইকামাতে দ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসা

ফরিদপুরে কমিউটার ট্রেন এর যাত্রা বিরতি || ড. যশোদা জীবন দেবনাথের আবেদন মঞ্জুরের আশ্বাস দিলেন রেলমন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি

ঘটনাস্থল: ঢাকার উত্তরখান ॥॥ সন্ত্রাসী মোঃ আশিক মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নিরীহ মোঃ নুরুল হকের প্রায় ১৩০০ অযুতাংশ জমি অবৈধ দখলে রেখেছে ॥॥ প্রাণের ভয়ে আদালতে যেতে পারছেন না তিনি

শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল রেজার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ

রূপালী ব্যাংক লোকাল অফিসের মহাব্যবস্থাপক কর্তৃক আত্মসাৎকৃত প্রায় ৪১ লাখ টাকার এফ ডি আর এর অভিযোগটি অর্থঋণ মোকাদ্দমা ৯৬/২০১৯ এ বিচারের জন্য নথিভূক্ত হয়েছে

সমরাস্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী