খেলা

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

  স্পোর্টস ডেস্ক ৬ মার্চ ২০২৩ , ১১:৪১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আজ টাইগারদের জাম্বুওয়াশ এড়ানোর মিশন। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ হেরে বসেছে বাংলাদেশ। তাই এই ম্যাচে জয় নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে চাইবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে এবারের সফরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে মিলে মোট ছয় ম্যাচে টস ভাগে হেরেছে টিম টাইগার্স।
বুধবার (১০ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর সোয়া ১টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের একমাত্র খেলাধুলা বিষয়ক চ্যানেল টি-স্পোর্টস।
আজকের একাদশে বাংলাদেশ দুটি পরিবর্তন এনেছে। ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো অভিষেক হয়েছে পেসার এবাদত হোসেনের। যিনি টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ। বাংলাদেশের ১৩৯তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হলেন এবাদত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এরই মধ্যে ১৭ টেস্ট খেলেছেন তিনি। এছাড়াও ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে না খেলা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান দলে ঢুকেছেন। এ দুজনকে জায়গায় দিতে বাদ পড়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও পেসার শরিফুল ইসলাম।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে তাদের নিয়মিত অধিনায়ক রেগিস চাকাভা চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। আজকের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে টস করেন আগের দুই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সিকান্দার রাজা। আরও স্বাগতিকদের হয়ে অভিষেক হয়েছে উইকেটকিপার ব্যাটার ক্লাইভ মাদান্দের। তিনি জিম্বাবুয়ের ১৫২তম ওয়ানডে ক্রিকেটার। এছাড়া তানাকা চিভাঙ্গার বদলে সুযোগ পেয়েছেন রিচার্ড এনগারাভা।
আজকের ম্যাচে হারলে ২১ বছর পর আবার জাম্বুওয়াশ হবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে একধাপ অবনমন হবে টাইগারদের। বাংলাদেশ সবশেষে ২০০১ সালে রোডেশিয়ানদের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছিল নিজেদের হোম সিরিজে। যেখানে অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট। সেই দলের কেউই বর্তমানে আর খেলছেন না।
বাংলাদেশ আজ ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের ইতিহাসে ৪০০তম ম্যাচ খেলবে। তাই টাইগাররা চাইবে নিজেদের চারশোতম ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এ ফরম্যাটে যাত্রা শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশের। ৩৬ বছরে ১৮টি দেশের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি ৮০ ম্যাচ খেলেছে জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই। অর্ধশতাধিক ম্যাচ খেলা আরেক প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), এনামুল হক (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসাইন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ
তাদিওয়ানাশে মারুমানি, তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধভেরে, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে, টনি মুনিয়ঙ্গা, ব্র্যাডলি ইভান্স, তানাকা চিভাঙ্গা, ভিক্টর নিয়াউচি ও রিচার্ড গাভারা।

আরও খবর

Sponsered content