অনলাইন ডেস্ক ৬ মে ২০২৩ , ১১:৪১:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইছে না। তারা জনগণের অবস্থান বুঝতে পেরেছে। এবার সিলেটসহ দেশের অন্য পাঁচ সিটি করপোরেশনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ারের খবর তাদের অজানা নয়। তাদের অতীত কার্যক্রম জনগণের মনে আছে। তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি আত্মসম্মান হারানোর ভয়ে নির্বাচনে আসছে না শুক্রবার বিকালে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হলে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সম্পাদকসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নানক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা অবশ্যই জয় পাবে।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা জানে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। কারণ, তাদের দুঃশাসনের স্মৃতি মানুষ ভোলেননি। এ অবস্থায় নিশ্চিত পরাজয়ের ভয়ে তারা নির্বাচনে আসতে চাইছে না। আত্মসম্মান হারানোর ভয়ে কেউ নির্বাচনে না এলে আমাদের করার কিছু নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দিলেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এটা সিলেটবাসীর দুর্ভাগ্য। তবে এবার নৌকার জয় হবে এবং অবশ্য সিলেটকে তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, সিলেটে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মোহাম্মদ আলী দুলাল ও এটিএম হাসান জেবুলের পরিচালনায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আশফাক আহমদ, অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, ড. আহমদ আল কবির, অ্যাডভোকেট শাহ মো. মোসাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি, কবীর উদ্দিন আহমদ, শমসের জামাল, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ, সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব নাথ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।