বিশেষ সংবাদদাতা ঃ ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ , ৯:২১:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ভাড়া না দিয়েই পলাতক রয়েছেন ইমদাদুল হক নামের জনৈক ভাড়াটিয়া। দীর্ঘদিন ভাড়া না দেয়ায় দোকান ভাড়া পেতে ভাড়াটিয়া ইমদাদুল হককে পরপর ৩ টি আইনি নোটিশ প্রেরন করেন দোকান মালিক মিসেস জেবুন্নেছা। ভাড়াটিয়া ইমদাদুল হক ্ঐ নোটিশ পেয়েও ভাড়া না দিয়ে বা আইনি নোটিশ এর উত্তর না দিয়েই দোকান বন্ধ রেখে পালিয়ে থাকেন। অবশেষে ভাড়াটিয়া ্ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ডিএমপি নিয়ন্ত্রিত ওয়ারি থানায় ভাড়াটিয়ার বিভিন্ন স্ট্যাম্প জালিয়াতি, ভাড়া না দিয়ে দোকান দখলে রাখার অভিযোগ এনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি নং-২১৫ তাং ০৪.১০.২০২৩ ইং। উক্ত সাধারণ ডায়েরীর তদন্ত করেন ওয়ারী থানার এস আই মো: জহির হোসেন(বিপি-৮৮১৭১৯৯৭১৪)। তদন্ত কালে এস আই মো: জহির হোসেন ভাড়াটিয়াকে তার বিরুদ্ধে করা জিডির বিরুদ্ধে আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নিতে ্ একাধিক নোটিশ প্রেরন করেন। ভাড়াটিয়া ্ইমদাদুল হক ঐ নোটিশের জবাব না দেওয়ায় গত ১৫ই জানুয়ারী ২০২৪ ইং ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি প্রতিবেদন প্রেরন করেন। ভাড়ার চুক্তি ভঙ্গ করায় দোকান মালিক মিসেস জেবুন্নেছা সংশ্লিষ্ট দোকান মালিক সমিতির সাথে কথা বলে দোকানের দখল বুঝে নেন। দীর্ঘদিন সম্পুর্ন মালামাল মুক্ত খালি দোকানে তালা মেরে ভাড়াটিয়া ইমদাদুল হক এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দোকানের
১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ভাড়া বাকি রেখে পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা জেলার দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এর আওতাধীন কাপ্তান বাজার কমপ্লেক্স-১ এর ২২ নং দোকানে।
একটি সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায় এস আই জি বাংলাদেশ লি: এর চেয়ারম্যান পরিচয়ে মো: ইমদাদুল হক নামের জনৈক ভাড়াটিয়া দোকান মালিক জনৈক মিসেস জেবুন্নেসা এর নিকট থেকে কাপ্তান বাজার ভবন-১ এর ২২ নং দোকানটি ২০২০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর হতে ২ বছরের জন্য ভাড়া নেন। ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম জামানত ও মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ার ভিত্তিতে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি ভাড়াটিয়া চুক্তি সম্পন্ন হয়। ভাড়াটিয়া মাসিক ভাড়াও নিয়মিত প্রদান করে না। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ১লা জানুয়ারী মাসিক ১৬ হাজার টাকা ভাড়া ও অগ্রিম ১ লক্ষ টাকা জামানতের ভিত্তিতে উভয়ের মধ্যে ২ বছরের ভাড়ার চুক্তি সম্পন্ন হয়। ঐ চুক্তির পরে ভাড়াটিয়া দোকানটি বন্ধ রেখে ভাড়া না দিয়ে পলাতক থাকে। ইতিমধ্যে ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাস পর্যন্ত ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ভাড়া অপরিশোধ থাকে। দোকান মালিক মিসেস জেবুন্নেছা দোকান ভাড়া না পেয়ে ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর,২০২৩ সালের ৭ই নভেম্বর ও সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর পরপর ৩টি আইনি নোটিশ প্রেরন করেন সংশ্লিষ্ট আইন জীবির মাধ্যমে। কিন্তু ভাড়াটিয়া উক্ত আইনি নোটিশের জবাব না দিয়ে নিশ্চুপ থাকেন। এরই মধ্যে ভাড়াটিয়া ইমদাদুল হক- দুটি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প(যার নং-৯৯৭৩৭৮২ ও ৯৯৭৩৭৬৬) এ উক্ত দোকান ভাড়ার শর্তাবলীতে মাসিক ১১ হাজার টাকা ভাড়া ১লা জুল্ইা ২০২২ হতে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০(দশ) বছরের চুক্তি একই সাথে প্রতি ১০ বছর পরপর ১ হাজার টাকা ভাড়া বৃদ্ধি ও এককালীন অগ্রিম ১০ লক্ষ টাকা দোকান মালিককে প্রদান করেছে মর্মে একটি দোকান মালিক পক্ষের স্বাক্ষর বিহীন চুক্তিনামা তেরী করে পুরানো চুক্তির নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প নং-০০৯০৬৯৮ এর স্বাক্ষরিত দোকান মালিক ও ভাড়াটিয়ার চুক্তিকৃত পৃষ্ঠা সংযুক্ত করে একটি জালিয়াতি পূর্ণ দোকান ভাড়ার চুক্তিপএ তৈরী করেন। ঐ জালিয়াতি সম্পন্ন চুক্তি পএকে পুঁজি করে দোকান মালিক মিসেস জেবুন্নেসা কে বিবাদি করে ঢাকার সিনিয়র সহকারী জর্জ ষষ্ঠ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-দেওয়ানী:৩২৯/২০২৩ ইং। জালিয়াতি চুক্তিপত্র তৈরী ও মিথ্যা মামলা দায়ের এর বিষয়টি ন্যায় বিচার ও সত্য অনুসন্ধানে বিচারিক আদালত কর্তৃক অতিদ্রুত ফৌজদারী কার্যবিধির আওতায় অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এর পর এ ষ্ট্যাম্প জালিয়াতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে দোকান মালিক মিসেস জেবুন্নেছা আইনী সহযোগিতা চেয়ে জেবুন্নেছা ওয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং-২১৫ তাং ০৪.১০.২০২৩ ইং। ঐ সাধারণ ডায়েরীর বিপরীতে সংশ্লিস্ট তদন্ত কর্মকতা জহির হোসেন সাধারণ ডায়েরীর আসামি ইমদাদুল হককে শুনানির জন্য পরপর ৩ বার নোটিশ দিলেও ইমদাদুল হক সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সম্মুখে হাজির হন নাই। এই পর্যায়ে সংশ্লিস্ট তদন্ত কর্মকতা মো: জহির হোসেন বিষয়টি বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটকে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। যাহার স্মারক নং-২০৪ তাং ১৫.০১.২০২৪ ইং এর পেক্ষিতে দোকান মালিক মিসেস জেবুন্নেসা দোকান ভাড়া চুক্তির ৫ এর শর্ত অনুযায়ী দোকান মালিক ভাড়া চুক্তি বাতিল মর্মে দোকানটি নিজ দখলে নিয়ে নেন।
এ বিষয়ে দোকান মালিক মিসেস জেবুন্নেসা এই প্রতিনিধিকে বলেন-“ভাড়ার চুক্তি শর্ত মেনে কাপ্তানবাজার দোকান মালিক সমিতিকে অবহিত করে দোকান মালিক হিসাবে দোকানটি নিজ দখলে নিয়েছি। কিন্তু আমার নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সিনিয়র সহকারী ৬ষ্ঠ জর্জের আদালতে(দেওয়ানী-৩২৯/২০২৩) মিথ্যা মামলা করার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালতে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।”