আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়ায় আবারও বন্যা, মৃত্যু ১

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক ১৪ অক্টোবর ২০২২ , ১:৪৯:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

অস্ট্রেলিয়ায় ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার কারণে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। তিনটি এলাকা থেকে লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন অংশে অক্টোবরের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে তিন গুণেরও বেশি। বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচশ ঘর-বাড়ি। অস্ট্রেলিয়াজুড়ে লা নিনার প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে এ বছর। চলতি বছর ২০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য ভিক্টোরিয়া। এ সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বৃষ্টির কারণে। রাজ্যটির রাজধানী মেলবোর্নসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, বন্যায় প্লাবিত বাড়িঘরের সংখ্যা আরও বাড়বে। এটিকে কয়েক দশকের মধ্যে রাজ্যের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, এটি কেবল শুরু।
বন্যার কারণে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে, আগামী সপ্তাহে আরও ভারি বৃষ্টি হতে পারে। মেলবোর্নের উত্তরে সেমুর শহরে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর পরিমাণ অক্টোবরের গড় বৃষ্টিপাতের তিনগুণ বা এক বছরে লন্ডনের গড় বৃষ্টিপাতের প্রায় এক চতুর্থাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও লা নিনা আবহাওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় সম্প্রতি বন্যা দেখা দিয়েছে। লা নিনা বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এবং দিনে শীতল তাপমাত্রার শঙ্কা বাড়ায়।
জলবায়ু পরিবর্তনশীলতার সবচেয়ে শক্তিশালী উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন (এনসো)। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে ঘটে যাওয়া এনসো (ইএনএসও) চক্রের দুটি বিপরীত অবস্থা হলো এল নিনো ও লা নিনা। প্রশান্ত মহাসাগরের নিরক্ষীয় পূর্ব উপকূলে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ও ১২০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে সমুদ্র ও বায়ুমন্ডলীয় তাপমাত্রার মধ্যে অস্থিরতাকে বোঝাতে এনসো শব্দটি ব্যবহার করা হয়। লা নিনা দ্বারা এনসো অন্তর্ভুক্ত শীতল অবস্থা এবং এল নিনো দ্বারা উষ্ণ অবস্থা বোঝানো হয়। এল নিনো উত্তর থেকে দক্ষিণে আর লা নিনা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়।

সূত্র: বিবিসি

আরও খবর

Sponsered content