সারাদেশ

কচুয়ায় ১২ মাসে ২৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

  চাঁদপুর, কচুয়া প্রতিনিধি ৭ মার্চ ২০২৩ , ৭:৫৩:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

চাঁদপুরের কচুয়ায় ভূমি রেজিস্ট্রি খাত থেকে প্রায় ১২ মাসে ২৯ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। সরকারের অনলাইন সেবার কারণে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তবে কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাফ কবলা, দানপত্র, হেবা, বিল, এওজ বিনিময় বণ্টন, নির্দেশপত্র, খাস মোক্তারনামা, চুক্তিপত্র, পার্টনার ডিড, পাওয়ার রহিতকরণ ইত্যাদি দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে এ রাজস্ব আয় হয়েছে। গত ২০২১ সালের ৬জুন থেকে কচুয়া সাব-রেজিস্টার হিসেবে মো. রিয়াজুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে রেকর্ড সংখ্যক দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারের রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ খাত থেকে গত ২০২১ সালের ৬জুন থেকে ৭ হাজার ৩৩ দলিল ও ২০২২ সালে ১৪ হাজার ১শ ৯৮ দলিলের মাধ্যমে ২৯ কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪০ টাকা সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে। তন্মধ্যে স্থানীয় সরকার কর আয় হয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৩০ টাকা। যা পূর্বের কোনো অর্থবছরে রেকর্ড সংখ্যক দলিল রেজিস্ট্রি করতে পারেনি কোনো সাব-রেজিস্টার। তাছাড়া সরকারের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হলো ভূমি রাজস্ব কর, যা ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি অফিস বা তহসিল অফিস, উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে সরকারি এ রাজস্ব আয় হয়। অনলাইন সিস্টেমের কারণে হয়রানি অনেক কমেছে। অন্যদিকে কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রিার অফিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বেড়ে গেছে। অনলাইনে ভূমির দাখিলা, খতিয়ান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) এর ব্যবহার দলিলপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কারণে এ সব অফিসগুলোতে অনেকাংশে স্বচ্ছতা এসেছে। ফলে জনগণকে প্রতারনা মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রির পথও বন্ধ হয়ে গেছে। কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে রিয়াজুল ইসলাম যোগদানের পর পাল্টে গেছে পুরো অফিসের চিত্র। গত কয়েক বছর ধরে দলিল রেজিস্ট্রি করে সর্বোচ্চ রাজস্ব রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত ছিল সরকার। আর বর্তমানে কচুয়া সাব- রেজিস্ট্রার রিয়াজুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে শক্ত হাতে দক্ষ ও আন্তরিকতার সাথে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে কথা বলেন এবং কাগজ পত্রের কোনো সমস্যা থাকলে সাব-রেজিস্ট্রার সেসব সমাধান বলে দেন। তবে তিনি অফিসের কোন কাজে অনিয়ম দেখলে খুবই কঠিন ভাবে তদারিক করে থাকেন। সে কারনে তিনি যোগদানের পর থেকে কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিষ্ট্রেশন অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক গুণ বেশি। আদায় হয়েছে সরকারি রাজস্ব। যা কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এতে করে সাব-রেজিস্টার মো. রিয়াজুল ইসলামের গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে সাধারন মানুষের কাছে। কয়েকজন সেবা গ্রহীতারা বলেন, পূর্বে এ অফিসে এসে অনেক অনিয়মের কথা শুনেছি। কিন্তু বর্তমান সাব-রেজিস্টার মো. রিয়াজুল ইসলাম স্যার যোগদানের পর থেকে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। বিশেষ করে সেবা প্রত্যাশীদের সাথে সদাচারণ করে আসছেন। তিনি আসার পর থেকে এখন পাল্টে গেছে চিত্র। তিনি একজন জনবান্ধব অফিসার। তারা আরো বলেন, এভাবে স্যারের মতো স্বচ্ছতা থাকলেও কচুয়া সাব-রেজিস্টার অফিসটি সব সময় জনবান্ধব হয়ে থাকবে। কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রার রিয়াজুল ইসলাম জানান, সরকারের রেজিস্ট্রি খরচ, উৎসকর, স্থানীয় সরকার কর, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদের করগুলো সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা হওয়ায় রাজস্ব আদায় বেড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হবে জনবান্ধব একটি অফিস। তাছাড়া জমি ক্রেতা-বিক্রেতাগনের সাথে আন্তরিক হয়ে জমি রেজিষ্ট্রেশনের আইন বুঝিয়ে দলিল লেখকদের সহায়তা পক্ষগনের দলিল রেজিষ্ট্রেশন সম্পাদন করে আসছি। এর ধারাবাহিকতায় কচুয়ায় আরও কিভাবে রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজ সহজতর করা যায় ও এ খাত থেকে কিভাবে আরো সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো যায় সে দিকে সবসময় নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কচুয়া মানুষের কল্যাণে যেন সবসময় সেবা দিতে পারি তাই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

আরও খবর

৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলায় বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন ড. মিল্টন বিশ্বাস

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ ইং উপলক্ষে জেলার “শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান” নির্বাচিত || ফরিদপুরের ভাংগা’র ইকামাতে দ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসা

ফরিদপুরে কমিউটার ট্রেন এর যাত্রা বিরতি || ড. যশোদা জীবন দেবনাথের আবেদন মঞ্জুরের আশ্বাস দিলেন রেলমন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি

সিটির সঙ্গে একীভূত না করতে গভর্নরকে বেসিকের কর্মীদের স্মারকলিপি

ঘটনাস্থল: ঢাকার উত্তরখান ॥॥ সন্ত্রাসী মোঃ আশিক মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নিরীহ মোঃ নুরুল হকের প্রায় ১৩০০ অযুতাংশ জমি অবৈধ দখলে রেখেছে ॥॥ প্রাণের ভয়ে আদালতে যেতে পারছেন না তিনি

শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল রেজার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ

Sponsered content

আরও খবর: চট্টগ্রাম বিভাগ

স্থানীয় সরকার সচিব- এর দৃষ্টি আকর্ষন-২ || চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালী করণ প্রকল্পে- সরকারী নীতিমালা মেনে অপেক্ষাকৃত-জ্যেষ্ঠ- প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হবে কি?

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এর দৃষ্টি আকর্ষণ : চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক-এর নাম প্রস্তাবে ব্যাপক অনিয়ম

চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন, আহত ৪

সোনাকানিয়া ইউনিয়ানে ইফতার সামগ্রী বিতরন

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এর নিজস্ব অর্থায়নে সাতকানিয়া ইউনিয়ন ইফতার সামগ্রী বিতরণ

‘আগে ডাল-ভাতের আন্দোলন হতো এখন মাছ-মাংসের দাম কমানোর দাবি তোলে’