আন্তর্জাতিক

আরব বিশ্বের ১৩ কোটি লোক দুর্ভিক্ষের মুখে

  অনলাইন ডেস্ক ২ জানুয়ারি ২০২৩ , ১০:৫৭:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। আরব বিশ্বের পরিস্থিতিও বেশ নাজুক। সেখানে বাড়ছে দারিদ্র্য। লিবিয়া ও গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) দেশগুলো বাদে পশ্চিম এশিয়ার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দরিদ্র জীবন যাপন করছে। খাদ্যমূল্য বেড়েছে অনেক। পশ্চিম এশিয়ার জন্য করা জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গত শুক্রবার জাতিসংঘের এ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবর সিনহুয়ার। সার্ভে অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টস ইন দ্য আরব রিজিওন’ শীর্ষক ওই সমীক্ষায় বলা হয়, আরব দেশগুলোর ১৩ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার। তারা জাতীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। সমীক্ষায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সাল নাগাদ আরব বিশ্বে দারিদ্র্য আরও বাড়বে। আগামী দুই বছরে আরব বিশ্বের মোট ৩৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়, গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব ছিল আরব অঞ্চলে। সেখানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশের বেশি। ২০২৩ সালে বেকারত্বের হার কিছুটা কমে ১১ দশমিক ৭ শতাংশে নামতে পারে। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বেকারত্ব কিছুটা কমতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে আরব অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। জিসিসির সদস্যদেশগুলো হচ্ছে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। জাতিসংঘের এ সমীক্ষার শীর্ষ লেখক আহমেদ মৌম্মি বলেন, জিসিসি ও অন্য তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো জ্বালানির উচ্চ মূল্যের কারণে সুবিধা পাবে। কিন্তু তেল আমদানিকারক দেশগুলো বিভিন্ন আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এর মধ্যে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্য সরবরাহ-সংকট, পর্যটনশিল্পে ধস ও আন্তর্জাতিক সাহায্য কমে যাওয়ার মতো নানা সমস্যার মুখে পড়তে হবে দেশগুলোকে। মৌম্মি আরও বলেন, তেল রপ্তানিকারক আরব দেশগুলোর উচিত তাদের অর্থনীতিকে জ্বালানি খাত থেকে দূরে সরিয়ে এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা, যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন হয়। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এদিকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে বিরাজ করছে তীব্র খাদ্যসংকট। দেশটির লাখ লাখ শিশু অপুষ্টির শিকার। মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দেশটি।

 

আরও খবর

Sponsered content