মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি বিএনপির দেড় ডজন কাউন্সিলর প্রার্থী
নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে ‘স্বশিক্ষিত’ লিখে আলোচনায় এসেছিলেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আর সেই ধারা অব্যাহত রেখে এবার আলোচনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত অন্তত দেড় ডজন কাউন্সিলর প্রার্থী। নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
এসব প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে জাতির জন্য কতটুকু সুফল বয়ে আনবে সেটাই প্রশ্ন ভোটারদের। নগরীর জালালাবাদ ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থী মো. ইয়াকুব চৌধুরী। লেখাপড়ায় মাধ্যমিকের গণ্ডিও পেরোতে না পারা ইয়াকুব নিতে চান সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দেখভালের দায়িত্ব। একই অবস্থা পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ, পশ্চিম ষোলশহরের ইসকান্দর মির্জা, উত্তর কাট্টলীর রফিক উদ্দিন চৌধুরী এবং সরাইপাড়ার শামসুল আলমের।
এছাড়াও স্বশিক্ষিত কিংবা অক্ষরজ্ঞান সম্পন্নদের তালিকায় রয়েছেন পাহাড়তলীর জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, লালখান বাজারের আবদুল হালিম, বাগমনিরামের চৌধুরী সাইফুদ্দিন রাসেদ সিদ্দিকী, এনায়েত বাজারের এম এ মালেক, রামপুরার শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী, দক্ষিণ আগ্রাবাদের মো. সেকান্দর, পশ্চিম মাদারবাড়ির মো. সালাহ উদ্দিন, পূর্ব মাদারবাড়ির হাবিবুর রহমান, পাথরঘাটার ইসমাইল বালি, গোসাইলডাঙ্গার মো. হারুন, উত্তর মধ্যম হালিশহরের মো. ওসমান, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের হানিফ সওদাগর এবং দক্ষিণ পতেঙ্গার মো. নুরুল আবছার।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর বিএনপির জ্যৈষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘স্বশিক্ষিত’ কথাটি নিজের অযোগ্যতা ঢাকার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। যেসব প্রার্থীকে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে, তাদের বেশিরভাগেরই কোনো যোগ্যতা নেই বললে চলে। তাছাড়া যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা ভোটার তথা জনগণের দায়িত্ব। ভোটের মাধ্যমে সেটি তারা প্রকাশ করবেন।